জুনের মধ্যে কক্সবাজারে রেললাইন চালু: রেলমন্ত্রী

দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। ছবি: সংগৃহীত

রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন জানিয়েছেন, আগামী জুন মাসের মধ্যে দোহাজারী-কক্সবাজার রেললাইন চালু হবে। তখন ঢাকাসহ সারাদেশ থেকে ট্রেন সরাসরি কক্সবাজারে যাবে।

আজ বৃহস্পতিবার দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত নতুন রেললাইন নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের আইকনিক স্টেশনে তিনি এ কথা বলেন।

রেলমন্ত্রী বলেন, 'এক সময় এটি স্বপ্ন ছিল। এখন সেটা বাস্তবায়নের পথে। কক্সবাজারবাসী যেমন এর অপেক্ষায় আছে, তেমনি সারাদেশের মানুষ ট্রেনে করে পর্যটন নগরী কক্সবাজার আসার অপেক্ষায় আছে। আশা করা যাচ্ছে, নির্ধারিত সময়ে আগামী বছরের জুনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।'

তিনি আরও বলেন, 'কক্সবাজারে চলাচলের জন্য টুরিস্ট কোচের আদলে উন্নত মানের কোচে ট্রেন চালানো হবে। এজন্য নতুন প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ৫৪টি কোচ কেনা হবে, যেগুলোর জানালা হবে সুপ্রশস্ত। মানুষ অনায়াসে প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখার সুযোগ পাবে।'

কাজের অবগতি সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে মন্ত্রী বলেন, 'প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।'

মন্ত্রী নির্মাণাধীন আইকনিক স্টেশন বিল্ডিংয়ের বিভিন্ন তলা ঘুরে দেখেন। পরে প্রায় ৩০ কিলোমিটার ন‌তুন লাইন পরিদর্শন করেন তিনি। ইতোমধ্যে ৬০ কিলোমিটার রেললাইন তৈরি সম্পন্ন হয়েছে।

পরিদর্শনের সময় কক্সবাজারের সংসদ সদস্য সাইমুম সরোয়ার কমল, বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) কামরুল আহসান, বাংলাদেশ রেলওয়ের (পূর্বাঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক জাহাঙ্গীর হোসেনসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, আগামী এপ্রিল মাসের মধ্যে স্টেশন বিল্ডিংয়ের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে।

প্রসঙ্গত, দোহাজারী থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত মোট ১০০ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েল গেজ রেলপথ নির্মিত হচ্ছে। পুরো প্রকল্পে ৩৯টি মেজর ব্রিজ এবং ২৪২টি  কালভার্ট রয়েছে। হাতি চলাচলের জন্য আন্ডারপাস ও ওভাপাস  নির্মাণ করা হচ্ছে। এ রেললাইন নির্মিত হলে ট্রান্স‌ এশিয়ান রেলওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপিত হবে। পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আনা হবে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

5h ago