ঘন কুয়াশায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ, পূর্বপ্রান্তে ১৫ কি‌লো‌মিটার যানজট

ঘন কুয়াশায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বন্ধ, পূর্বপ্রান্তে ১৫ কি‌লো‌মিটার যানজট
বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে কা‌লিহাতী উপ‌জেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ কি‌লো‌মিটার যানজ‌ট। ছবি: সংগৃহীত

ঘন কুয়াশার কার‌ণে বঙ্গবন্ধু সেতু‌তে রা‌তে ২ ঘণ্টা টোল আদায় বন্ধ ছিল। এতে ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়‌কের বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব টোলপ্লাজা থেকে কা‌লিহাতী উপ‌জেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত ১৫ কি‌লো‌মিটার যানজ‌টের সৃ‌ষ্টি হ‌য়ে‌ছে।

এছাড়া এলেঙ্গা থেকে মহাসড়‌কের রাবনা পর্যন্ত ৬ কি‌লো‌মিটার সড়‌কে প‌রিবহ‌নের দীর্ঘসা‌রি আছে। মহাসড়‌কে যানজ‌টের কার‌ণে উত্তরবঙ্গ থে‌কে ছে‌ড়ে আসা ঢাকাগামী প‌রিবহনগু‌লো বঙ্গবন্ধু‌ সেতু পূর্ব গোলচত্ত্বর থে‌কে ভুঞাপুর দি‌য়ে আঞ্চ‌লিক সড়ক ব‌্যবহার ক‌রে ঘু‌রে যা‌চ্ছে।

আজ বৃহস্প‌তিবার ভোররাত থে‌কে মহাসড়‌কে এই যানজ‌টের সৃ‌ষ্টি হয়। এতে চরম ভোগা‌ন্তি‌তে প‌ড়ে‌ছে যাত্রী ও চালকরা।

বঙ্গবন্ধু সেতুর ট্রা‌ফিক ক‌ন্ট্রোল রুম সূ‌ত্রে জানা গে‌ছে, অতি‌রিক্ত ঘন কুয়াশায় সেতুর উপর দুর্ঘটনা এড়া‌তে বুধবার রাত ১২টা থে‌কে রাত ২টা পর্যন্ত পূর্ব ও প‌শ্চিম টোলপ্লাজায় টোলবুথগু‌লো বন্ধ রাখা হয়। প‌রে মহাসড়‌কে গা‌ড়ির দীর্ঘসা‌রি ও যানজ‌ট সৃ‌ষ্টি হওয়ায় উভয়পা‌ড়ে ১৪‌টি টোলবু‌থের ম‌ধ্যে সেতুপূর্ব পা‌ড়ে ২টি ও প‌শ্চি‌মের ২টি টোলবুথ খোলা রাখা হয়।

মহাসড়‌কে যানজ‌টের কারণে বে‌শি বিপা‌কে প‌ড়ে‌ছে কাঁচামাল বহনকারী ট্রাক চালকরা।

চালকরা জানান, কুয়াশা বে‌শি হ‌লেই সেতু‌তে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ সময় গা‌ড়ি বন্ধ থাকায় চালকরাও ঘু‌মি‌য়ে প‌ড়ে। অনে‌কেই এলো‌মে‌লোভা‌বে গা‌ড়ি রে‌খে সড়ক আট‌কি‌য়ে রা‌খে। এছাড়া সকা‌লের দি‌কে মহাসড়‌কে গা‌ড়ির চাপ বে‌ড়ে যায়। ফ‌লে যানজ‌টের সৃ‌ষ্টি হয়।

বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ‌ফিকুল ইসলাম জানান, ক‌য়েক‌দিন ধ‌রেই ঘন কুয়াশার কার‌ণে সেতু‌তে টোল আদায় বন্ধ থাকায় সকা‌লের দি‌কে মহাসড়‌কে যানজ‌টের সৃ‌ষ্টি হ‌চ্ছে। বৃহস্প‌তিবার ভোররাত থে‌কে বঙ্গবন্ধু সেতু টোলপ্লাজা থেকে কা‌লিহাতী উপ‌জেলার ভাবলা পর্যন্ত মহাসড়‌ক পর্যন্ত প‌রিবহ‌নের দীর্ঘসা‌রি র‌য়ে‌ছে। মহাসড়‌কে প‌রিবহন চলাচল স্বাভা‌বিক কর‌তে পু‌লিশ কাজ কর‌ছে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

4h ago