তালিকাভুক্ত এক-তৃতীয়াংশ ব্যাংকের সম্পদের গুণগত মান কমেছে

সম্পদের গুণগত মান কমায় এবং অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি ও করোনা মহামারির কারণে গত ৫ বছরে বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর এক-তৃতীয়াংশ, বিশেষ করে শরিয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর সম্পদের বিপরীতে মুনাফা হ্রাস পেয়েছে।
ছবি: সংগৃহীত

সম্পদের গুণগত মান কমায় এবং অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি ও করোনা মহামারির কারণে গত ৫ বছরে বাংলাদেশের তালিকাভুক্ত ব্যাংকগুলোর এক-তৃতীয়াংশ, বিশেষ করে শরিয়াহ-ভিত্তিক ব্যাংকগুলোর সম্পদের বিপরীতে মুনাফা হ্রাস পেয়েছে।

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) তালিকাভুক্ত ৩৪টি ব্যাংকের মধ্যে ৩১টি ব্যাংক রিটার্ন অন অ্যাসেটের (আরওএ) তথ্য প্রকাশ করেছে। সেই তথ্যে দেখা গেছে, ৩১ ব্যাংকের মধ্যে ১০টির আরওএ ২০১৭ সাল থেকে ক্রমাগত কমছে।

আরওএর মাধ্যমে বোঝা যায়, একটি ব্যাংক তার মোট সম্পদের বিপরীতে কতটা লাভজনক।

৫ ব্যাংকের আরওএ সূচকে ক্রমাগত বৃদ্ধি দেখা গেছে। বাকিরা উত্থান-পতনের মধ্যেই ছিল। যারা উত্থান-পতনের মধ্যেই ছিল, তাদের আরওএ গত ৫ বছরে একই রকম ছিল।

যেসব ব্যাংকের আরওএ নিম্নমুখী, তাদের মধ্যে ৭টিই শরিয়াহ ভিত্তিক। সেগুলো হলো— সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড (এসআইবিএল), ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড (আইবিবিএল), আল-আরাফাহ ইসলামী ব্যাংক (এআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক ও স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক।

ন্যাশনাল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকও (এসবিএসি) একই তালিকায় রয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিপুল পরিমাণ ঋণ পুনতফসিলের অনুমতি দেওয়ার কারণেই সম্পদের রিটার্ন কমে যেতে পারে। যখন একটি ব্যাংক যথাযথ নিয়ম অনুসরণ না করে ঋণ দেয়, তখন সম্পদের গুণগত মান হ্রাস পায় এবং এটি শেষ পর্যন্ত ব্যাংকের মূলধন হ্রাস করে।'

'এটি ব্যাংকগুলোর বোঝা বাড়ায় এবং তাদের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা কমে যায়। সবশেষে, লাভ কমে যায় এবং ব্যাংকগুলো দুর্বল হয়ে পড়ে', বলেন তিনি।

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের মতে, ঋণগ্রহিতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে দক্ষতার অভাবই এই সমস্যার মূলে রয়েছে।

২০১৭ সালের পর থেকে প্রতি বছরই এসআইবিএলের আরওএ হ্রাস পাচ্ছে। ২০১৭ সালে ব্যাংকটির আরওএ ১ দশমিক ৪ শতাংশ ও ২০১৮ সালে দশমিক ৫৪ শতাংশ থাকলেও ২০২১ সালে তা দশমিক ৪২ শতাংশে নেমে এসেছে।

এসআইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমপি) জাফর আলম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালে এসআইবিএলের সম্পদের মান ভালো ছিল। এসআইবিএলের শ্রেণিবদ্ধ বিনিয়োগ গত বছর কমে গেছে, তাই ২০২৩ সাল আরও ভালো হবে।'

তার মতে, যেহেতু বাংলাদেশের রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্সপ্রাপ্তি বাড়ছে, তাই ২০২৩ সালটি ব্যাংকিং খাতের জন্য একটি ভালো বছর হবে।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) মহাপরিচালক তৌফিক আহমেদ চৌধুরী ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সম্পদের বিপরীতে রিটার্নের পতনের ফলেই সম্পদের বিপরীতে ব্যাংকগুলোর মুনাফার পরিমাণ ও সম্পদের গুণগত মান হ্রাস পেয়েছে।'

সংক্ষেপিত: ইংরেজিতে পুরো প্রতিবেদন পড়তে ক্লিক করুন One third of listed banks' asset quality drops

Comments

The Daily Star  | English

Secondary schools to reopen Saturday, primary on Sunday

Academic activities at all secondary-level educational institutions will resume on Saturday, the Ministry of Education said today

3h ago