ববিতে ২ ছাত্রলীগ নেতাকে কোপানোর ঘটনায় তদন্ত কমিটি

শের-ই-বাংলা মে‌ডিকেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে চিকিৎসাধীন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা সিফাত (বামে) ও ফাহাদ (ডানে)। ছবি: টিটু দাস/স্টার

ব‌রিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শের-ই-বাংলা হ‌লে ঢু‌কে ২ ছাত্রলীগ নেতা‌কে কু‌পি‌য়ে জখমের ঘটনায় ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদারকে প্রধান করে এই তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ বিষয়ে অধ্যাপক সুপ্রভাত হালদার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি শুনেছি ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রভোস্ট আবু জাফর মিয়া আমাকে জানিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো চিঠি পাইনি।'

এ ঘটনার বিচার চেয়ে সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল ক্যাম্পাস সংলগ্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে।

এসময় শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবি জানান।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ছাদেকুল আরেফিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'এটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ঘটনা। আমরা আহত ছাত্রদের দেখে এসেছি এবং প্রশাসনকে অবিলম্বে জড়িতদের গ্রেপ্তারের অনুরোধ জানিয়েছি।'

ওই হ‌লে অবস্থানরত প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থী জিয়া দ্য ডেইলি স্টারকে ব‌লেন, 'ফজ‌রের আজা‌নের পর সা‌ড়ে ৫টার দি‌কে হঠাৎ ক‌রে হেল‌মেট প‌রি‌হিত ১০ থেকে ১৫ জন ব্যক্তি হ‌লে প্রবেশ ক‌রেন। এরপর তারা সব রু‌ম বাইরে থেকে আট‌কে দেন। প‌রে তারা ছাত্রলীগ নেতা ম‌হিউদ্দিন আহ‌ম্মেদ সিফাত‌কে রুম থে‌কে টে‌নেহিঁচড়ে বের ক‌রে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেন এবং জিএম ফাহাদের হাত ভে‌ঙে দেওয়ার পাশাপাশি তা‌কেও কু‌পি‌য়ে জখম ক‌রে‌ন। এরপর আহত অবস্থায় তা‌দের ২ জন‌কে ব‌রিশাল শের-ই-বাংলা মে‌ডিকেল ক‌লেজ হাসপাতা‌লে ভ‌র্তি করা হ‌য়।'

আহত জিএম ফাহাদ ব‌লেন, 'হামলাকা‌রীরা সবাই হেল‌মেটধারী ছি‌লেন। তবুও তা‌দের শনাক্ত কর‌তে পে‌রে‌ছি। হামলাকা‌রীদের মধ্যে আলীম সা‌লেহী, অমিত হাসান র‌ক্তিম, ‌রিয়াজ মোল্লা, সৈয়দ জিসান আহ‌ম্মেদসহ অন্তত ১০ থেকে ১২ জন ছিলেন। তারা সবাই আমাদের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ।'

তবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, প্রতিপক্ষ নয় বরং নিজ গ্রুপের বিক্ষুব্ধ সদস্যদের নির্মম হামলার শিকার হয়েছেন ওই ২ ছাত্রলীগ নেতা। কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়, এ ঘটনার পেছনে তাদের অর্থ ভাগাভাগির কারণ থাকতে পারে।

বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি। হামলা কারা করেছে নিশ্চিত হয়েছি। এখন মামলার অপেক্ষায় আছি। মামলা হলেই অ্যাকশন নেব।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Large-scale Chinese investment can be game changer for Bangladesh: Yunus

The daylong conference is jointly organised by Bangladesh Economic Zones Authority and Bangladesh Investment Development Authority

2h ago