ইয়াবা পাচার মামলায় ৭ রোহিঙ্গার যাবজ্জীবন

রোহিঙ্গাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের মানবিক সহায়তা
কক্সবাজারের উখিয়ায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ক্যাম্প। এএফপি ফাইল ছবি

কক্সবাজারে ইয়াবা পাচার মামলায় মিয়ানমারের ৭ রোহিঙ্গা নাগরিককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দিয়েছেন আদালত। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে প্রত্যেক আসামিকে আরও ৫ মাস করে কারাদণ্ডের আদেশ দেওয়া হয়।

আজ রোববার বিকালে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাঈল ওই রায় ঘোষণা করেন।

কক্সবাজারের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম দ্য ডেইলি স্টারকে এইসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেন।

সাজাপ্রাপ্তরা হলেন— এম. বেলাল হোসেন, ইয়ার মোহাম্মদ, জয়নাল হোসেন, জাকির হোসেন, মঞ্জুর আলম, আব্দুর রহমান ও মো. জাকির হোসেন। তারা সকলেই মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের আকিয়াব জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

পিপি ফরিদুল আলম বলেন, ২০২০ সালের ১ ডিসেম্বর মধ্যরাতে বঙ্গোপসাগরে টেকনাফ উপজেলার শাহপরীরদ্বীপ থেকে অনন্ত ৭ থেকে ৮ নটিক্যাল মাইল দূরে সন্দেহজনক একটি মাছ ধরার ট্রলার দেখতে পেয়ে কোস্টগার্ড সদস্যরা ট্রলারটিকে থামার সংকেত দেয়। এ সময় কোস্টগার্ড সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে ট্রলারে থাকা লোকজন পালানোর চেষ্টা করে। পরে ধাওয়া করে ৭ জনকে আটক করা হয়। এসময় ট্রলারটি তল্লাশি করে ২ লাখ ৮০ হাজার ইয়াবা পাওয়া যায়। ঘটনার পরদিন কোস্টগার্ড টেকনাফ স্টেশনের সদস্য এম. এ. ইসলাম বাদী হয়ে আটক ৭ জনের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে টেকনাফ থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০২১ সালের ২৭ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০২২ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি ফরিদুল আলম আরও বলেন, মামলার সার্বিক বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আজ রোববার বিকালে আদালতের বিচারক রায় ঘোষণা করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতিতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক ৭ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড দিয়েছেন।   

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

1h ago