বন্দুক হামলা

মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে বন্দুকধারীর গুলিতে নিহত ৪, আহত অন্তত ৫

সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠছেন সন্দেহভাজন বন্দুকধারী। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ। ছবি: রয়টার্স
সিঁড়ি বেয়ে ওপরে উঠছেন সন্দেহভাজন বন্দুকধারী। সিসি ক্যামেরায় ধারণকৃত ফুটেজ। ছবি: রয়টার্স

যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগান স্টেট বিশ্ববিদ্যালয়ে (এমএসইউ) এক বন্দুকধারীর গুলিতে অন্তত ৩ ব্যক্তি নিহত ও অপর ৫ ব্যক্তি আহত হয়েছেন। আহতদের কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা গেছে। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর সন্দেহভাজন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ফলে এ ঘটনায় মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪। 

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশের টুইটার বার্তার বরাত দিয়ে বার্তাসংস্থা এএফপি আজ মঙ্গলবার জানায়, 'আহত ৫ জন ছাড়াও আরও অন্তত ৩ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশের ভারপ্রাপ্ত উপ-প্রধান ক্রিস রোজম্যান প্রাথমিক বিবৃতিতে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের বার্কি হল নামের একটি প্রশাসনিক ভবন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইউনিয়ন ভবনে হামলা চালান অজ্ঞাত বন্দুকধারী।

রোজম্যান আরও জানান, স্থানীয় সময় রাত ৮টার কিছুক্ষণ পর হামলা শুরু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় অবস্থানে গুলিবিদ্ধ মানুষ খুঁজে পায়।

স্থানীয় সময় রাত ৮টার কিছুক্ষণ পর হামলা শুরু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় অবস্থানে গুলিবিদ্ধ মানুষ খুঁজে পায়। ছবি: রয়টার্স
স্থানীয় সময় রাত ৮টার কিছুক্ষণ পর হামলা শুরু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে উভয় অবস্থানে গুলিবিদ্ধ মানুষ খুঁজে পায়। ছবি: রয়টার্স

তিনি নিশ্চিত করেন, অন্তত ৫ জন আহত ব্যক্তিকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। তাদের কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।

রোজম্যান জানান, সন্দেহভাজন ব্যক্তি একজন মাস্ক পরিহিত বেঁটে পুরুষ। তিনি খুব সম্ভবত কৃষ্ণাঙ্গ। তাকে সর্বশেষ এমএসইউ ইউনিয়ন ভবনের সামনে থেকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে।

রোজম্যান হামলার প্রায় ৪ ঘণ্টা পর নিশ্চিত করেন, সন্দেহভাজন বন্দুকধারীর লাশ পাওয়া গেছে। আঘাতের ধরন দেখে ধারণা করা যায়, তিনি নিজের ওপর গুলি চালান। 

'ক্যাম্পাসে আর কোনো ঝুঁকি নেই। আমাদের বিশ্বাস, এ ঘটনায় একজনই সন্দেহভাজন ব্যক্তি রয়েছে', যোগ করেন তিনি। 

এমএসইউ যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। এর ইস্ট ল্যান্সিংয়ে অবস্থিত মূল ক্যাম্পাসে প্রায় ৫০ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশ জানিয়েছে, আজ মঙ্গলবার থেকে শুরু করে ৪৮ ঘণ্টার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও অন্যান্য কার্যক্রম বাতিল করা হয়েছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

The end of exemption?

TRIPS waiver end poses dual challenge: legal and technological

19h ago