শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের মারামারি, আহত ১০
মানিকগঞ্জের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দেওয়ার পর জেলা শ্রমিক লীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকর্মীদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। আধঘণ্টাব্যাপী চলা এ মারামারিতে অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে শ্রমিকলীগ নেতা আব্দুল জলিল ও বাবুল সরকারের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রথমে সংঘর্ষ শুরু হয়। পরে যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতাকর্মীরাও এতে জড়িয়ে পড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা উপলক্ষে সকাল সাড়ে ৯টায় শহীদ মিনারে ফুল দেয় জেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এর আগে সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন তারা। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনে সভাপতিত্বে এবং জেলা আওয়ামী সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালামের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় বক্তব্য অন্যান্যরা।
আলোচনা শেষে ফুল দেওয়ার পর জেলা শ্রমিকলীগের নেতা বাবুল সরকারের নাম ঘোষণা করার সঙ্গে সঙ্গেই আব্দুল জলিলের সমর্থকরা চিৎকার করে প্রতিবাদ করে। এরপরই ২ পক্ষের মধ্যে শুরু হয় সংঘর্ষ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল ও কাজী এনায়েত হোসেন টিপুসহ জেলার কয়েকজন নেতা মারামারি থামানোর চেষ্টা করেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মারামারির সময় প্রতিপক্ষের বাঁশের আঘাত ও কিলঘুষিতে যুবলীগ নেতা নাজমুল ও ডা. প্রদীপ বসু, স্বেচ্ছাসেবকলীগ নেতা কাজল ও শ্রমিক লীগ নেতা কাদেরসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, মানিকগঞ্জ জেলা শ্রমিক লীগের পরপর ২টি কমিটি হয়। কমিটির বৈধতা নিয়ে আদালতে মামলা হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ আব্দুল জলিল ও বাবুল সরকার জেলা শ্রমিকলীগের সভাপতির পদ দাবি করে আসছিলেন। এর জের ধরেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম দ্য ডেইলি স্টারকে বরেন, 'পুরো বিষয়টি অনাকাঙ্ক্ষিত। এ ধরনের ঘটনা কোনোভাবেই কখনো কাম্য নয়। যারা এ ধরনের কাজ করলেন, তাদের বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।'
Comments