ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা, ব্যানার-ফেস্টুনে সেজেছে নগরী
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা ৫ বছর পর আগামী ১১ মার্চ ময়মনসিংহ যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রীর জনসভার আগে পোস্টার-ব্যানার-ফেস্টুনে সেজে উঠেছে ময়মনসিংহ নগরী। নগরীতে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ।
স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর এই সফর দলের তৃণমূল নেতাকর্মীদের আরও উজ্জীবিত করবে।
প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে পাল্টে গেছে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের রাজনীতির দৃশ্যপট। চাঙা হয়ে উঠেছে দলটির অঙ্গ সংগঠনগুলো। প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে ইতোমধ্যে একাধিক প্রস্তুতি সভা করেছে জেলা ও মহানগর নেতারা। পাশাপাশি তারা ব্যাপক প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন।
প্রধানমন্ত্রীর সভাস্থল নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠসহ আশপাশ এলাকায় সাজানো-গোছানোর কাজ শুরু হয়েছে। দ্রুত এগিয়ে চলেছে মঞ্চ প্রস্তুতির কাজ। নানারকম ব্যানার, ফেস্টুন আর তোরণে ছেয়ে গেছে নগরীর প্রধান সড়কগুলো।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোয়াজ্জেম হোসেন বাবুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে কর্মীদের মাঝে ব্যাপক উদ্দীপনা কাজ করছে। নেতাকর্মীরা জনসভা সফল করতে মাঠে দিনরাত কাজ করছেন।'
মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি মেয়র ইকরামুল হক টিটু বলেন, 'এই সমাবেশ নেতাকর্মীদের মিলনমেলায় পরিণত হবে। আমরা ধারণা করছি বিভাগের উন্নয়নসহ আগামী নির্বাচন নিয়েও বিশেষ বার্তা দেবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।'
ময়মনসিংহের নাগরিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার নূরুল আমিন কালাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যে ২৩ দফা দাবি দিয়েছি। এর মধ্যে আছে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে ১ হাজার শয্যা থেকে ৩ হাজার শয্যায় উন্নীত করা, নগরীতে বিদ্যমান তীব্র যানজট নিরসনে একাধিক ফ্লাইওভার নির্মাণ, মেডিকেল ও ইঞ্জিনিয়ারিং বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, বিভাগীয় শহরের কাজ দ্রুত শুরু করা এবং ব্রহ্মপুত্র নদে চলমান ড্রেজিং সঠিক সময়ে শেষ করা।'
তিনি আরও বলেন, 'দীর্ঘ ৫ বছর পর ময়মনসিংহে আসছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। আমাদের প্রত্যাশা অনেক। আমরা আশা করি প্রধানমন্ত্রী আমাদের যৌক্তিক দাবিগুলো পূরণ করবেন।'
নগরীর স্টেশন রোড এলাকার পান বিক্রেতা স্বপন দাস জানান, ময়মনসিংহে প্রধানমন্ত্রীর আগমনে সাধারণ মানুষও খুশি। আমারা চাই জেলার উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী বিশেষ ঘোষণা দিবেন।
মুদি দোকানি সালাম মিয়া বলেন, 'আমরা আশা করি শান্তিপূর্ণভাবে জনসভা শেষ হবে।'
Comments