‘যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না করতাম, এত কথা আসত কীভাবে?’

ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপির এক নেতা আছে সারাদিন মাইক লাগিয়ে বসে থাকে, বাংলাদেশকে নাকি আমরা ধ্বংস করে দিয়েছি। ময়মনসিংহবাসীর কাছে জিজ্ঞাসা, এই যে ৭৩টি প্রকল্পের উদ্বোধন, সবমিলিয়ে প্রায় ১০৩টি প্রকল্প, এগুলো কী ধ্বংসের নমুনা? তাহলে ওরা মিথ্যা কথা বলে কেন? আসলে মিথ্যা বলা ওদের পেশা। 

আজ শনিবার বিকেলে ময়মনসিংহে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, '২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা, ১০ ট্রাক অস্ত্র চোরাকারবারি ও দুর্নীতি এবং তারেক জিয়া ও কোকোর দুর্নীতি কিন্তু বাংলাদেশ না, আমেরিকার গোয়েন্দা সংস্থা বের করেছে। তারা এসে সাক্ষী দিয়ে গেছে তার বিরুদ্ধে। সেই দুর্নীতি মামলায় সাজাপ্রাপ্ত দেশ থেকে ভেগে আছে, আমরা তাকে কিছুই করিনি। আজ দেশ যে ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়েছে, এই ডিজিটাল বাংলাদেশের বদৌলতে এখন দূরে বসে দেশে মানুষের সঙ্গে কথাও বলে, রাজনীতিও করে, সবই করে।'  

'বিদ্যুৎ উৎপাদন আমরা বাড়াই, বিএনপি কমায়' উল্লেখ করে তিনি বলেন, '১৯৯৬ সালে যেখানে ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াট ছিল, ৪ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটে বাড়িয়েছিলাম। ২০০৯ সালে যখন সরকার গঠন করি, তখন দেখি তা কমে গেছে। কারণ বিএনপির আমলে দুর্নীতি করে সেটা কমিয়ে দিয়েছে। এখন ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ। প্রায় ২৪ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষমতা আমরা অর্জন করেছি।' 

'তাছাড়া, বিদ্যুতের চাহিদা বাড়ছে। মানুষের ব্যবহার বাড়ছে। আমরা প্রতিটি ঘর আলোকিত করে রাখতে চাই। এই বিদ্যুৎ দিয়েছি বলেই এত কথা বলার সুযোগ পাচ্ছে', যোগ করেন তিনি। 

শেখ হাসিনা বলেন, 'আমরা যদি ডিজিটাল বাংলাদেশ না করতাম, বিদ্যুৎ না বাড়াতাম, তাহলে এত কথা মাইকে আসত কীভাবে? আমরা যে কিছুই করিনি, আমাদেরই করা জিনিস ব্যবহার করে আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাচ্ছে, এটা তাদের (বিএনপি) স্বভাব। লুটপাট, চুরি, দুর্নীতি এটাই তাদের স্বভাব।'

'আমাদের মাথাপিছু আয় ২ হাজার ৮২৪ মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে। যা বিএনপির আমলে ছিল মাত্র ৪৩৪ মার্কিন ডলার', বলেন তিনি। 

প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, '২০৪১ সালের বাংলাদেশে আমাদের জনগোষ্ঠী ডিজিটাল পদ্ধতিতে শিক্ষাগ্রহণ করবে, স্মার্ট জনগোষ্ঠী হিসেবে গড়ে উঠবে, আমাদের অর্থনীতি হবে স্মার্ট, আমাদের কৃষি হবে স্মার্ট, আমাদের স্বাস্থ্য হবে স্মার্ট। আমাদের বাংলাদেশে প্রতিটি মানুষ, তৃণমূল পর্যন্ত মানুষের উন্নত জীবন হবে, প্রতিটি গ্রামের মানুষ শহরের নাগরিক সুবিধা পাবে। "আমার গ্রাম, আমার শহর" আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি। প্রতিটি বাড়ি একেকটি খামারবাড়ি হবে, যেমন "আমার বাড়ি আমার খামার"।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

6h ago