ইরান-সৌদি চুক্তি

ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন হলেও সব সমস্যা মেটেনি: সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী

রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। ফাইল ছবি: রয়টার্স
রিয়াদে এক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখছেন সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। ফাইল ছবি: রয়টার্স

সম্প্রতি চীনের মধ্যস্থতায় সৌদি আরব ও ইরানের কূটনৈতিক সম্পর্ক পুনঃস্থাপনের ঘোষণায় মধ্যপ্রাচ্যে নেমে এসেছে স্বস্তি। তবে এ চুক্তিতে ২ দেশের সব সমস্যা মিটে গেছে, এমনটা ভাবছেন না সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

প্রিন্স ফয়সাল সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আল শার্ক আল আওসাতে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, তিনি ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে শিগগির বৈঠকে বসার জন্য উন্মুখ। 'আমরা ২ মাসের মাঝে ২ দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক আবারও পূর্ণাঙ্গরূপে চালুর জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি এবং স্বভাবতই আমরা একে অপরের দেশ সফর করবো', যোগ করেন ফয়সাল।

শুক্রবার চীনের মধ্যস্থতায় ২ দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন ও ৭ বছর পর আবারও দূতাবাস খোলার বিষয়ে ঘোষণা আসে।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, সৌদি আরব ও ইরান প্রতিবেশী দেশ, যাদের বিভিন্ন বিষয়ে মিল আছে, যেমন ধর্ম, সংস্কৃতি ও ইতিহাস।

মতানৈক্যের বিষয়গুলো নিয়ে তিনি জানান, এই চুক্তি 'শান্তিপূর্ণ উপায়ে এবং কূটনৈতিক প্রক্রিয়ায় আলোচনা ও যোগাযোগের মাধ্যমে ২ দেশের সব সমস্যা নিরসনের যুগপৎ ইচ্ছার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে'।

'আমরা (সৌদি আরবের বাসিন্দারা) ইরানের সঙ্গে সম্পর্কের নতুন অধ্যায় রচনা করার বিষয়ে আশাবাদী, যার ফলে ২ দেশের পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়নের মাধ্যমে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা আরও বলিষ্ঠ হবে, উন্নয়ন ও মঙ্গলের সম্ভাবনা আরও বাড়বে, এবং তা শুধু এই ২ দেশের নয়, পুরো অঞ্চলের ক্ষেত্রেই', যোগ করেন তিনি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল ইরানের পরমাণু কর্মসূচী নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, 'ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা তৈরির কার্যক্রম অব্যাহত থাকার বিষয়টি নিঃসন্দেহে আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয় এবং আমরা আবারও মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগরীয় অঞ্চলকে গণবিধ্বংসী অস্ত্র মুক্ত রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা ইরানকে আহ্বান জানাই পারমাণবিক বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে এবং আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি এজেন্সির প্রতি সহযোগিতা বাড়াতে। আমরা এ বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য মিত্র ও বন্ধুরে সঙ্গে কাজ করতে থাকবো'।

সৌদি মন্ত্রী চীনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, 'উভয় পক্ষের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক ইতিবাচক, যার ফলে সৌদি আরবের যৌক্তিক উদ্বেগ ও ২ দেশের ভিন্নমতকে এক সুতায় আনার বিষয়টি সহজ হয়েছে। আমরা আশা করি চীনের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালনে এই অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোর মাঝে সহাবস্থান নিশ্চিত করবে এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতি ও পারস্পরিক সম্পর্কের উন্নয়ন ঘটাবে'। 

Comments

The Daily Star  | English
corruption-extortion-illustration-biplob-chakroborty

‘Now it’s our turn’ mindset fuelling abuse of power: TIB

While reforms are publicly touted, an ongoing culture of dominance, illegal occupation, and extortion resulting from "power abuse" by certain political parties is undermining public aspirations to build a democratic "New Bangladesh", it says

1h ago