ইবিতে বহিরাগত প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা, প্রশাসনের মাইকিং

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) ক্যাম্পাসে বহিরাগতরা প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। 

আজ মঙ্গলবার এ বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা জানিয়ে মাইকিং করে প্রশাসন। এতে বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজের সঙ্গে সর্ম্পকযুক্ত নয় এমন কেউ ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে না।

প্রক্টর শাহাদৎ হোসেন আজাদ দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্যে নিশ্চিত করে জানান, হঠাৎই বহিরাগতদের আনাগোনা ক্যাম্পাসে বেড়ে গেছে এবং তারা ক্যাম্পাসে ঢুকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আনাচে-কানাচে বসে আড্ডা দিতে শুরু করেছে। কখনও কখনও এমনকি এসব ইস্যুতে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে হট্টগোলে লিপ্ত হচ্ছে।

অভিযোগ আছে, গতকাল বিকেলে ক্যাম্পাসে নারী শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করে স্থানীয় বখাটেরা। এর প্রতিবাদ করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুজন শিক্ষার্থীকে মারধর করে বখাটেরা। আহতরা বর্তমানে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

তারা হলেন ম্যানেজমেন্ট ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের মোহাম্মাদ হাসান জিসান ও ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের একই বর্ষের শিক্ষার্থী সুপ্ত হাসান।

এ ঘটনায় বিভিন্ন হল থেকে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করেন। এতে রাত ৯ টা থেকে ১টা পর্যন্ত কুষ্টিয়া-খুলনা মহাসড়কে যানচলাচল বন্ধ হয়ে থাকে।

পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর, কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফরহাদ হোসেন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন। 

রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার এইচএম আলী হাসান ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানায় একটি মামলা করেন। মামলার পর শিক্ষার্থীরা অবরোধ তুলে নেন।

ইবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আননূর যায়েদ বলেন, ইবি শিক্ষার্থীদের মারধরের ঘটনাস্থল ঝিনাইদহ জেলা হওয়ায় কারণে রেজিস্ট্রারের করা মামলাটি ঝিনাইদহের শৈলকুপা পুলিশ স্টেশনে পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে। সেখানে মামলাটি রুজু হয়েছে।

শৈলকুপা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমিনুল ইসলাম জানান, মামলায় অভিযুক্ত  ঝন্টু প্রামাণিককে বসন্তপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ২৫ জনকে আসামি রয়েছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শেখ আবদুস সালাম বলেন, বহিরাগতরা বিশেষ করে কিশোর ছেলেরা সত্যিই সমস্যা তৈরি করছে। এদের অনুপ্রবেশ সীমিত করা দরকার। তিনি বলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সেটা করেছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

‘For 15 years I fought for BNP leaders and activists, today they pushed me’

Rumeen Farhana says she was almost knocked down during clash at EC over Brahmanbaria boundaries

41m ago