তিস্তার পানি প্রত্যাহারে ভারতের পরিকল্পনা জানার চেষ্টা চলছে: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়

Foreign_Ministry

পশ্চিমবঙ্গে জলবিদ্যুৎ ও সেচ প্রকল্পের জন্য তিস্তা নদীর পানি প্রত্যাহারে ভারতের পরিকল্পনা সম্পর্কে তথ্য জানার চেষ্টা করছে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলি সাবরিন আজ সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এই কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, 'আমরা সতর্কতার সঙ্গে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যাচাই করছি।'

গত সপ্তাহে ভারতীয় সংবাদপত্র দ্য টেলিগ্রাফের খবরে জানানো হয়, দার্জিলিংয়ে ৩টি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প তৈরির নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, তিস্তার উজানে আরও ২টি খাল খনন করবে ভারত। এর মাধ্যমে জলপাইগুড়ি এবং কোচবিহার জেলার কৃষি জমি সেচের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে এই প্রকল্পের জন্য প্রায় ১ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।

তিস্তার পানি বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে সেচের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষ করে ডিসেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত খরা মৌসুমে।

সেহেলী সাবরিন বলেন, বাংলাদেশের জনগণের বড় একটি অংশের জীবন ও জীবিকা তিস্তার পানির ওপর নির্ভরশীল। তাই বাংলাদেশ বহু বছর ধরে ভারতের সঙ্গে পানি বণ্টন চুক্তির চেষ্টা করে আসছে।

২০১১ সালে বাংলাদেশ ও ভারত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি চূড়ান্ত করেছিল কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতায় এটি সই হয়নি।

সেহেলী সাবরিন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক রয়েছে। এ বিবেচনায় বাংলাদেশ সংলাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত রাখবে।

এদিকে, পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহেদ ফারুক পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকের পর গণমাধ্যমকে বলেছেন, তিস্তা থেকে পানি প্রত্যাহারের বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চেয়ে ভারত সরকারকে চিঠি দেওয়া হবে। যৌথ নদী কমিশনের তৈরি করা এই চিঠিতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাল খননের পরিকল্পনা সম্পর্কে জানতে চাওয়া হবে।

 

Comments

The Daily Star  | English

UN Human Rights office to open in Bangladesh soon: Gwyn Lewis

MoU is finalised as UN prepares to assist Bangladesh with political, police, judicial reforms

1h ago