ভাঙ্গায় সাবেক ও বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের আধিপত্য নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২০

বুধবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। 

গতকাল মঙ্গলবার রাত ও আজ বুধবার সকালে নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহিন আলম ও সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। 

সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছে। এ সময় অন্তত ১২টি বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। 

ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন ভুঁইয়া (ভাঙ্গা সার্কেল) দ্য ডেইলি স্টারকে সংঘর্ষের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, নুরুল্লাগঞ্জ ও পার্শ্ববর্তী মানিকদহ ইউনিয়নের ৭ গ্রামের কয়েকশ লোক দেশীয় অস্ত্র ও ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। 

বুধবার সকালে ভাঙ্গা উপজেলার নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে দফায় দফায় এ সংঘর্ষ হয়। ছবি: সংগৃহীত

সূত্র জানায়, নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নে দীর্ঘদিন ধরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষ সক্রিয় রয়েছে। এক পক্ষের নেতৃত্ব দেন নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহিন আলম। অপর পক্ষের নেতৃত্ব দেন নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলাম। দুজনই ফরিদপুর-৪ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য মজিবুর রহমান চৌধুরী ওরফে নিক্সনের অনুসারী।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইউনিয়নের মোল্লাকান্দা গঙ্গাধরদী গ্রামের মসজিদে ইফতার চলাকালে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সাবেক চেয়ারম্যান তরিকুল ইসলামের সমর্থক সরো ফকির ওই মসজিদে ইফতারের আয়োজন করেন। সে সময় সরো ফকিরের সঙ্গে বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ শাহিন আলমের এক সমর্থকের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।

এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে মঙ্গলবার রাতে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এর ধারাবাহিকতায় বুধবার সকাল ৮টার দিকে নুরুল্লাগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লাকান্দা গঙ্গাধরদী, ফকিরকান্দা গঙ্গাধরদী, দক্ষিণকান্দা গঙ্গাধরদী, ধর্মদী ও মানিকদহ ইউনিয়নের পুখুরিয়া, ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের লোকজনসহ আশেপাশের আরও কয়েক গ্রামের লোক সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। 

সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ব্রাহ্মণকান্দা গ্রামের মজিবর শেখ (৪৩) ভাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছে। বাকিরা বিভিন্ন ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হেলাল উদ্দিন ভুঁইয়া বলেন, 'মঙ্গলবার ইফতারের সময় দুই পক্ষের কথা কাটাকাটি নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। বুধবার সকালে দুই পক্ষ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ থামাতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে।'

এ ঘটনায় তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে আটক করা যায়নি বলে জানান তিনি।
 

Comments

The Daily Star  | English

Child rape cases rise nearly 75% in 7 months

Child rape cases in Bangladesh have surged by nearly 75 percent in the first seven months of 2025 compared to the same period last year, according to data from Ain o Salish Kendra (ASK).

5h ago