র‌্যাব হেফাজতে মৃত্যু

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে সুলতানার মৃত্যু: ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন

সুলতানা জেসমিন

মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের প্রতিক্রিয়ায় সুলতানা জেসমিনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের প্রধান সহযোগী অধ্যাপক কফিল উদ্দিন।

তিনি বলেন, 'হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ায় তার মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়েছে।'

কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গত ২৫ মার্চ সুলতানার মরদেহের ময়নাতদন্ত করে।

সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে গতকাল রোববার বিকেলে বোর্ড মৃত্যুর বিষয়ে তাদের চূড়ান্ত মতামত দিয়েছে এবং ওইদিনই পুলিশের কাছে চূড়ান্ত প্রতিবেদন হস্তান্তর করা হয়েছে।

সহযোগী অধ্যাপক কফিল উদ্দিন আজ সোমবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সুলতানার শরীরে দুটি আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। একটি তার বাম কপালে এবং আরেকটি হাতে। কপালের চিহ্নটি ১ ইঞ্চিরও কম এবং হাতের চিহ্ন দেখে মনে হয়েছে, সেখানে স্যালাইন দেওয়ার জন্য হয়তো একাধিকবার চেষ্টা করা হয়েছিল।'

'এই দুটি আঘাতের কারণে তার মৃত্যু হয়নি', যোগ করেন তিনি।

সুলতানাকে ইলেকট্রিক শক দেওয়া হয়েছিল কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'এমন কোনো আলামত নেই।'

নওগাঁর একটি ইউনিয়ন ভূমি কার্যালয়ের অফিস সহকারী সুলতানা জেসমিন গত ২৪ মার্চ র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‌্যাব) হেফাজতে মারা যান।

গত ২২ মার্চ বাড়ি থেকে হেঁটে অফিসে যাওয়ার সময় র‌্যাব-৫ এর একটি টহল দল তাকে তুলে নিয়ে যায়।

পরবর্তীতে তাকে নওগাঁ সদর হাসপাতাল ও রামেক হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত ২৪ মার্চ রামেক হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

সুলতানার মৃত্যুর একদিন আগে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে স্থানীয় সরকার পরিচালক এনামুল হক বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন।

Comments

The Daily Star  | English

Familiar Dhaka in an unfamiliar mood

The familiar city now appears in an unfamiliar form—no traffic jams, no honking, no packed footpaths

1h ago