ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করা মালামালও রক্ষা করতে পারলেন না ব্যবসায়ীরা

ঝুঁকি নিয়ে অনেক ব্যবসায়ী দোকান থেকে মালামাল বের করে আশেপাশে রাখেন। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

বঙ্গবাজারে আগুন লাগার খবর পেয়ে সকাল ৬টার দিকে দোকানে ছুটে আসেন অনেক ব্যবসায়ী। কেউ কেউ ঝুঁকি নিয়ে তাদের মালামাল বেরও করতে পারেন। সেই মালামালগুলো তারা রাখেন হানিফ ফ্লাইওভারের নিচেসহ আশেপাশের এলাকায়।

কিন্তু ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার করা এই মালামালও অনেকেই শেষ পর্যন্ত রক্ষা করতে পারেননি। অভিযোগ উঠেছে, কারও কারও মালামাল চুরি হয়ে গেছে। আবার ভবন ধসে পড়ায় কারও মালামাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে মালামাল রাখা দেওয়ান ফ্যাশনের সেলসম্যান মো. ইব্রাহিম বলেন, 'খবর পাওয়ার পর দ্রুত মার্কেটে এসে দেখি আগুন জ্বলছে। তখন পর্যন্ত আমাদের দোকানে কাছে আগুন যায়নি। আমরা ঝুঁকি নিয়ে ৩ জন দোকানের ভেতর ঢুকে ৩ বস্তা মাল বের করে হানিফ ফ্লাইওভারের নিচে রাখি।'

আগুন লাগার পর ঝুঁকি নিয়ে অনেক ব্যবসায়ী দোকান থেকে মালামাল বের করে আশেপাশে রাখেন। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

'ওই সময় ফায়ার সার্ভিসে সঙ্গে দোকানদারদের ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ঘটলে আমরা মাল রেখে পালিয়ে যাই। একটু পরে এস দেখি মালামাল নেই।'

ইব্রাহিম আরও বলেন, 'আমরা ১৭ বছর ধরে এখানে ব্যবসা করছি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাল বাঁচাইলাম। কিন্তু রাখতে পারলাম না। এই কষ্ট কই রাখি। আমাদের দোকানে ১৫ লাখ টাকার মাল তোলা হয়েছিল। সব শেষ হয়ে গেল।'

আরও কয়েকজন দোকানদার জানান, তারা কিছু মালামাল বের করে ইসলামিয়া ও হোমিও মার্কেটের সামনে রাস্তায় রাখেন। সকাল ৮টার দিকে বঙ্গবাজারের ৩তলা ভবন ভেঙে রাস্তার ওপর পড়ে। সে সময় তারা কোনোমতে পালিয়ে বেঁচে গেলেও তাদের মালামাল সব পুড়ে যায়।

ঝুঁকি নিয়ে অনেক ব্যবসায়ী দোকান থেকে মালামাল বের করে আশেপাশে রাখেন। ছবি: আনিসুর রহমান/স্টার

টাইজিন ফ্যাশনের মালিক মো. সুমন বলেন, 'অনেক কষ্টে কিছু মাল বের করতে পারছিলাম। তাও পুইড়া গেল। কষ্টের আর সীমা রইল না।'

আজ সকাল ৬টা ১০ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। সকাল ৬টা ১২ মিনিটে ফায়ার সার্ভিসের প্রথম ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। মোট ৪৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। আগুন নিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সাহায্যকারী দল যোগ দেয়। আগুন নেভাতে ব্যবহার করা হয়েছে হেলিকপ্টারও। দুপুর ১২টা ৩৬ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।

Comments

The Daily Star  | English

Jatiya Party central office vandalised, library set on fire in Kakrail

Protesters linked to Gono Odhikar Parishad demand ban on JP, accuse it of siding with Awami League

4h ago