কম মজুরিতে কাজ করেনি শ্রমিক, ফেরত গেল কর্মসৃজন প্রকল্পের টাকা

স্টার ডিজিটাল গ্রাফিক্স

সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কক্সবাজার জেলার উখিয়া উপজেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য গৃহীত কর্মসৃজন প্রকল্পে দ্বিতীয় পর্যায়ে বরাদ্ধ করা ৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ফেরত গেছে। 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. আল মামুন দ্য ডেইলি স্টারকে টাকা ফেরত যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

তিনি বলেন, কর্মসৃজন প্রকল্পের জন্য তালিকাভুক্ত শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দেওয়ায় তাদের বিপরীতে বরাদ্ধ করা টাকাগুলো ফেরত গেছে সরকারি তহবিলে। 

তিনি বলেন, উখিয়া উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ৪৪টি প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য মোট ২২ কোটি ৬৯ লাখ ৯৬ হাজার টাকা বরাদ্ধ দেয় দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়। ওই প্রকল্পগুলোর কাজের জন্য মোট ৫ হাজার ১৫৯ জন শ্রমিক নিয়োগ করা হয়। তাদের জনপ্রতি দৈনিক মজুরি নির্ধারণ করা হয় ৪০০ টাকা। এ প্রকল্পের আওতায় একজন শ্রমিক ১১০ দিন করে কাজ করেন। নিয়োগপ্রাপ্ত শ্রমিকরা তাদের প্রাপ্য মজুরির টাকা পেয়ে থাকেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। তালিকায় থাকা শ্রমিকেরা কাজে যোগ না দেওয়ায় সরকারের বরাদ্ধ করা অর্থ থেকে ৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকা ফেরত গেছে। দ্বিতীয় পর্যায়ে কর্মসৃজন প্রকল্পের আজকের দিন পর্যন্ত ৪৭ দিন কাজ হয়েছে। অবশিষ্ট রয়েছে আরও ৬৩ দিন। 

উখিয়া নাগরিক সমাজের নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য অধ্যাপক হুমায়ুন কবির চৌধুরী বলেন, 'সরকার অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর বেকারত্ব দূর করে তাদের কর্মসংস্হানের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচনের উদ্দেশে এ প্রকল্পটি গ্রহণ করেছে। এতে বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামোর ও উন্নয়ন হচ্ছে। তাই প্রকল্পটির ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে সমাজে। কিন্তু সমস্যাটা হচ্ছে দৈনিক মজুরি নিয়ে। এ প্রকল্পের অধীনে একজন শ্রমিক কাজ করে দৈনিক মজুরি পান ৪ শত টাকা। অথচ একই শ্রম বিনিয়োগ করে অন্য জায়গায় কাজ করলেন মজুরি পাওয়া যায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা। তাই কর্মসৃজন প্রকল্পের প্রতি বিশেষ করে উখিয়া এলাকার সাধারণ কর্মজীবী শ্রমিকদের আগ্রহ কমে গেছে।'

তালিকাভুক্ত শ্রমিক রাজাপালং ইউনিয়নের দরগাহবিল এলাকার মোহাম্মদ ইসমাইল বলেন, 'আমরা প্রকল্পের বাইরে কাজ করলে অনেক বেশি মজুরি পাই। তাই প্রকল্পের কাজে যাই না এখন।' 

Comments

The Daily Star  | English

Fund crunch hits Rohingyas hard

A humanitarian crisis in Cox’s Bazar Rohingya camps is brewing in the face of funding shortage for the refugees and more arrivals from the conflict-ridden Rakhine state of Myanmar.

10h ago