‘ইরাকে ১ জন মার্কিনির উপস্থিতিও গ্রহণযোগ্য নয়’

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি
তেহরানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে বৈঠকে ইরাকের প্রেসিডেন্ট আবদুল লতিফ রশিদ। ছবি: আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির ওয়েবসাইট

'যুক্তরাষ্ট্র নির্ভরযোগ্য কোনো বন্ধু নয়' মন্তব্য করে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেছেন, 'ইরাকের মাটিতে কোনো মার্কিন সেনাকে থাকতে দেওয়া উচিত নয়।'

গতকাল শনিবার ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ইরানে সফররত ইরাকের প্রেসিডেন্ট আবদুল লতিফ রশিদকে ইরানের নেতা বলেছেন, 'আমেরিকা ইরাকের বন্ধু নয়। আমেরিকানরা কারো বন্ধু নয়। এমনকি তারা তাদের ইউরোপীয় বন্ধুদের প্রতিও বিশ্বস্ত নয়।'

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ইরান প্রতিবেশী ও উপসাগরীয় দেশগুলোতে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতির চরম বিরোধী। তেহরান মনে করে, পশ্চিমের দেশগুলোর সেনাদের হস্তক্ষেপ মধ্যপ্রাচ্যে অস্থিরতার মূল কারণ।

ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে ইরাকের প্রেসিডেন্ট রশিদ প্রতিনিধি দল নিয়ে বর্তমানে তেহরান সফরে আছেন।

আলি খামেনি ইরাকের প্রেসিডেন্টকে বলেন, 'এমনকী, ইরাকে ১ জন মার্কিনির উপস্থিতিও গ্রহণযোগ্য নয়।'

২০১৪ সালে সশস্ত্র গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস) ইরাকে প্রভাব বিস্তার করলে তাদের দমনে ইরাকি সামরিক বাহিনীকে সহায়তা ও প্রশিক্ষণ দিতে আড়াই হাজার মার্কিন সেনা বর্তমানে ইরাকে অবস্থান করছে।

ইরাকে 'গণবিধ্বংসী' অস্ত্র আছে—এমন অভিযোগ নিয়ে ২০০৩ সালে যুক্তরাষ্ট্র মিত্রদের নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটিতে হামলা করে। দখলদার বাহিনী দেশটির তৎকালীন প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেনকে ক্ষমতাচ্যুত করার পাশাপাশি সেখানে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালায়।

২০১১ সালে মার্কিন সেনাদের ইরাক থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এর ৩ বছর পর আইএসকে প্রতিরোধে আবার মার্কিন সেনারা ইরাকে ফিরে আসে।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ইরাকের সম্পর্কের প্রসঙ্গ উল্লেখ না করে সফররত ইরাকি প্রেসিডেন্ট রশিদ বলেন, 'ইরাক প্রতিবেশী ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ও ২ দেশের মধ্যে বিদ্যমান সমস্যা সমাধান করতে চায়।'

Comments

The Daily Star  | English

Govt looking to defuse trade tensions with India

Bangladesh does not want any further escalation in tension with India as the recent retaliatory moves are affecting bilateral trade and both countries’ businesses.

47m ago