জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে চট্টগ্রামবাসীর অপেক্ষা বাড়ছে

ছবি: সংগৃহীত

জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পেতে চট্টগ্রামবাসীর অপেক্ষা এখনই শেষ হচ্ছে না। চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানিয়েছে, জলাবদ্ধতা নিরসনে নেওয়া প্রকল্প শেষ হতে আরও ২ বছর সময় লাগবে।

যদিও তাদের দাবি, প্রকল্পের মূল কাজ হয়ে গেছে, বাকি কাজের জন্য বেশি জলাবদ্ধতা হবে না।

সেনাবাহিনীর ৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।

বন্দরনগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে ৫ হাজার ৬১৬ কোটি টাকার প্রকল্পটি জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। সেই সময় ধরে নেওয়া হয়েছিল প্রকল্পটি ২০২০ সালে শেষ হবে।

এরপর সময় বাড়ানো হয়। সে অনুযায়ী, প্রকল্পটি চলতি বছরের জুনে শেষ হওয়ার কথা ছিল।

আজ মঙ্গলবার নগরীর দামপাড়া এলাকায় ব্রিগেডের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়।

৩৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদুর রহমান বলেন, 'জায়গা খালি থাকলে যত সহজে কাজটা করে ফেলা যায়, বেদখল করতে গেলে দেখা যায় প্রসেসটা স্লো হতে শুরু করে।'

সিডিএ'র প্রকল্প পরিচালক কর্নেল মো. শাহ আলী বলেন, 'প্রকল্প বাস্তবায়নে আমাদের আরও সময় প্রয়োজন।'

'মন্ত্রণালয় যদি আমাদের আবেদন অনুমোদন করে তাহলে প্রকল্প ব্যয় বাড়বে এবং প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৫ সালে,' যোগ করেন তিনি।

একটি প্রমাণ্য চিত্র উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বন্দর নগরীতে মোট ৫৭টি খাল রয়েছে কিন্তু আমাদের প্রকল্পে ৩৬টি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে ৭৬ শতাংশ কাজ শেষ করেছি। এতে খরচ হয়েছে ৩ হাজার কোটি টাকা।

তিনি আরও বলেন, অবশিষ্ট ২১টি খাল দিয়ে স্বাভাবিক পানিপ্রবাহের ব্যবস্থা নেই। আবর্জনা, নিচু কালভার্ট-ব্রিজ ৫৯টি স্থানে বাধা তৈরি করেছে। এগুলো পরিষ্কার রাখা সম্ভব না হলে চট্টগ্রাম শহরকে পুরোপুরি জলাবদ্ধতামুক্ত করা সম্ভব হবে না।

প্রকল্পের তথ্য অনুযায়ী, সিডিএ নগরীর ৩৬টি খালের ওপর গড়ে ওঠা ৩ হাজার ১৭৯টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus meets Chinese ambassador to review China visit, outline next steps

Both sides expressed a shared commitment to transforming discussions into actionable projects across a range of sectors

6h ago