ঘূর্ণিঝড় মোখা

নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সেন্টমার্টিন ছাড়ছে মানুষ

সেন্টমার্টিন
টেকনাফের উদ্দেশে ট্রলারে সেন্টমার্টিন ছাড়ছেন অনেকে। ছবি: সংগৃহীত

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার আগে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে সেন্টমার্টিন দ্বীপ ছাড়ছে মানুষ। আজ শুক্রবার সেন্টমার্টিন থেকে অন্তত ৩০০ জন ট্রলারে টেকনাফে গিয়েছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় ৮৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিল মোখা। মোখার প্রভাবে উচ্চ জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকিতে রয়েছে সেন্টমার্টিনসহ কক্সবাজার উপকূলীয় অঞ্চল। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে সেন্টমার্টিন দ্বীপ।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন কাজের জন্য সেন্টমার্টিনে থাকা লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে সরে আসতে শুরু করেছে। তবে যারা স্থায়ীভাবে সেন্টমার্টিনে থাকেন তারা সেখানেই সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছেন।

আজ শুক্রবার বিকেলে সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য জানান।

তিনি বলেন, 'আমরা এর আগেও বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলা করেছি। এবারও আমরা সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। শুকনো খাবার প্রস্তুত রাখা হয়েছে।'

'আমাদের এখানে ১০ হাজারের মতো লোক আছেন। তাদের সবাইকে নিরাপদে রাখার মতো অবস্থা আছে। অনেকে হোটেলের ছাদে থাকতে পারবেন,' তিনি যোগ করেন।

কক্সবাজার ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস বলছে, ঝুঁকি ও ক্ষতি নিরসনে সেন্টমার্টিনসহ উপকূলীয় অঞ্চলে সর্বোচ্চ সতর্কতার সঙ্গে প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় 'মোখা' পূর্ণ শক্তি নিয়েই এটি বাংলাদেশের কক্সবাজার ও মিয়ানমারের উপকূলীয় অঞ্চল অতিক্রম করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক।

সেন্টমার্টিনে কত ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসের হতে পারে, জানতে চাইলে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক বলেন, 'কত ফুট উচ্চতায় জলোচ্ছ্বাস হবে, এই ধরনের কোনো হিসাবে আমরা এখনো করিনি। তবে সেন্টমার্টিনে ভালো প্রভাব পড়বে, এটা বলা যেতে পারে।'

এ দিকে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ু বিষয়ক গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সেন্টমার্টিন দ্বীপ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। দ্বীপটি অতিক্রমের সময় ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ প্রতি ঘণ্টায় ১৬০ থেকে ১৮০ কিলোমিটারের বেশি থাকতে পারে। ফলে সেন্টমার্টিনে ১৫ থেকে ২০ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে। সেন্টমার্টিন দ্বীপ অতিক্রম করতে মোখার প্রায় ৫ থেকে ৬ ঘণ্টা সময় লাগবে। এই সময় সেখানে উচ্চ জলোচ্ছ্বাস থাকবে। সেজন্য সেখানকার মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়াটাই সবচেয়ে ভালো উদ্যোগ হবে।'

Comments

The Daily Star  | English

Yunus leaves for UK on four-day official visit

The two countries are working to renew their bilateral ties, with an increased focus on economic cooperation, trade and investment

2h ago