নোয়াখালী-২

এমপি মোরশেদ আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা স্থানীয় আ. লীগের

সেনবাগ পৌরসভার সাহাপুরে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত মতবিনিময় সভা। ছবি: স্টার

নোয়াখালী-২ আসনের (সেনবাগ-সোনাইমুড়ীর একাংশ) সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমকে তার নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশ।

আজ শনিবার দুপুরে সেনবাগ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাহাপুর মহল্লায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত ঈদ পরবর্তী তৃণমূল নেতাকর্মীদের মতবিনিময় সভা থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

সংসদ সদস্য মোরশেদ আলম সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের নবগঠিত কমিটির সভাপতি ও বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান।

সেনবাগ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জাফর আহাম্মদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জামাল উদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও নোয়াখালী চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও আওয়ামী লীগের শ্রম ও জনশক্তি কমিটির সদস্য শিহাব উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র আবু জাফর টিপু, সেবাগ পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরুজ্জামান চৌধুরী প্রমুখ।

বক্তারা সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নেতা-কর্মীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার অভিযোগ আনেন।

এ সময় সেনবাগ পৌরসভার সাবেক মেয়র এবং পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু জাফর টিপু এমপি মোরশেদকে তার নির্বাচনী এলাকায় অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা নুরুজ্জামান চৌধুরী সংসদ সদস্যের উদ্দেশে বলেন, 'আপনার নির্বাচন করার কোনো যোগ্যতা নেই। গত ইউপি নির্বাচনে অযোগ্য লোকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা নিয়ে অযোগ্য লোকদেরকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন। তাদের মধ্যে একজন নির্বাচিত হয়েছে তাও আবার দলীয় নেতাকর্মীদের সহযোগিতায়।'

শিহাব উদ্দিন শিহাব বলেন, 'মোরশেদ আলম ঢাকায় বসে সংসদ সদস্যের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে হাজার হাজার কোটি টাকার ব্যবসা করেন। তার পছন্দের লোক ছাড়া তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন না। দলের ত্যাগী ও সিনিয়র নেতাদের বাদ দিয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে আপনি অন্য উপজেলার বাসিন্দা হয়েও সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়েছেন।'

সভাপতির বক্তব্যে জাফর আহম্মদ চৌধুরী বলেন, 'তার বিতর্কিত কর্মকাণ্ড ও তৃণমূল নেতা-কর্মীদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করার কারণে সেনবাগে তৃণমূল আওয়ামী লীগ ফুঁসে উঠেছে। তারা বর্তমান সংসদ সদস্যকে সেনবাগ থেকে বিতাড়িত করতে ঐক্যবদ্ধ।'

সভার প্রধান অতিথি জামাল উদ্দিন আহাম্মেদ বলেন, এমপি মোরশেদ আলম বঙ্গবন্ধুর খুনির দল ফ্রিডম পার্টির সক্রিয় সদস্য। তাই সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগকে ফ্রিডম পার্টি মুক্ত করতে হবে। সেনবাগ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি বাতিল করে কাউন্সিলের মাধ্যমে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়ে তিনি আরও বলেন মোর্শেদ আলম লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে অর্থের যোগান দিচ্ছেন। কিন্তু তার নির্বাচনী এলাকার তৃণমূল নেতাকর্মীদের কোন খোঁজ খবর রাখেন না।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মোরশেদ আলম অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, 'দেশে ফ্রিডম পার্টির কোনো অস্তিত্ব নেই। আমার বাবাও কোনো দিন ফ্রিডম পার্টির সঙ্গে জড়িত ছিল না। তারেক রহমানকে টাকা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না, কারণ সে করে বিএনপি আমি করি আওয়ামী লীগ। কিছু লোক আমার বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছে। উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। কিছু লোক কমিটিতে আসতে না পেরে আমার বিরুদ্ধে উঠেপড়ে লেগেছে।'

Comments

The Daily Star  | English

How frequent policy shifts deter firms from going public

If a company gets listed, it will enjoy tax benefits, and this is one of the major incentives for them to go public..However, the government’s frequent policy changes have disheartened listed firms many times, as they faced higher tax rates once they got listed..It gave a clear, nega

14m ago