পাকিস্তান

অগ্নিসংযোগকারীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে পাঠাতে চান শাহবাজ

অগ্নিসংযোগকারীদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কারাগারে পাঠাতে চান শাহবাজ
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ অগ্নিসংযোগের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ছবি: ডন

পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রধানকে তুলে নেওয়ার পর সহিংসতায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের জন্য ৭২ ঘণ্টার সময়সীমা নির্ধারণ করে দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ।

পরিস্থিতি এখন 'ডু অর ডাই' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, 'এটা এখনই করতে হবে অথবা কখনোই হবে না।'

পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন জানিয়েছে, অগ্নিসংযোগ ও সহিংস হামলার ঘটনায় পিটিআই প্রধান এবং তার অনুসারীদের দোষারোপ করে শাহবাজ বলেছেন, 'মাতৃভূমির বিরুদ্ধে এই ধরনের শত্রুতা চালানো অপরাধীদের গ্রেপ্তার করে সংশ্লিষ্ট আইনের আওতায় সন্ত্রাসবিরোধী আদালতে হাজির করা উচিত। কোনো ধরনের ভয় বা পক্ষপাত ছাড়াই, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করা উচিত।'

ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পর তার কর্মী-সমর্থকদের ৪ দিন ধরে চালানো বিক্ষোভের পর পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ পাঞ্জাব সেফ সিটিস অথরিটি এবং কর্পস কমান্ডারের বাড়িতে যান।

এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী একটি টুইট বার্তায় বলেছেন, অগ্নিসংযোগ, লুটপাট, নাশকতা এবং সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তির ক্ষতিসাধনের কলঙ্কজনক ঘটনায় সহায়তা, প্ররোচনা এবং অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে।

গতকাল মঙ্গলবার পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিরোধী দল তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) চেয়ারম্যান ইমরান খানকে আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার ইমরান খানের ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। এ ছাড়া, আজ একটি দায়রা আদালতে তোশাখানা মামলায়ও তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।

গত মঙ্গলবার ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের পরপরই লাহোরে ক্যান্টনমেন্টের ভেতরে প্রবেশ করে হামলা, ভাঙচুর ও আগুন দেয় পিটিআই সমর্থকরা, প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠে পাকিস্তান। মোবাইল ইন্টারনেট ব্যবহার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে, টুইটার, ফেসবুক ও ইউটিউবের মতো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করা যাচ্ছে না। বুধবার থেকে সারাদেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমও ব্যাহত হয়ে পড়ে।

 

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago