ডিএসসিসি

৩ বছরে দুর্নীতি, অনিয়মে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে: তাপস

মেয়র তাপস বলেছেন, প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিগত ৩ বছরে দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা অপরাধে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।
৩ বছরে দুর্নীতি, অনিয়মে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে: তাপস
নগর ভবনে মেয়র হানিফ মিলনায়তনে ‘উন্নত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ৩ বছর’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন তাপস। ছবি: দীপন নন্দী

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দুর্নীতি কমেছে এবং রাজস্ব আয় বেড়েছে উল্লেখ করে মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, 'দায়িত্বভার গ্রহণের প্রথম দিন থেকেই অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমার 'শূন্য সহনশীলতা' নীতি বাস্তবায়ন করে চলেছি।'

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নগর ভবনে মেয়র হানিফ মিলনায়তনে 'উন্নত ঢাকার উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় ৩ বছর' শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মেয়র তাপস তার বক্তব্যে আরও বলেন, 'প্রশাসনিক সংস্কারের আওতায় এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বিগত ৩ বছরে দুর্নীতি, অনিয়মসহ নানা অপরাধে শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে।'

এ ছাড়া এ সময়ে প্রয়োজনীয় জনবল এ ঘাটতির প্রকটতা কমাতে ভারী গাড়ির ১০৯ জন চালকসহ ৫ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ফলে, নাগরিক সেবা প্রদান ও করপোরেশনের নৈমিত্তিক কাজে যেমন গতি এসেছে তেমনি বৃদ্ধি পেয়েছে তদারকি ও উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়নের হার বলেও জানান মেয়র তাপস।

তাপস বলেন, 'আমরা যেমন দীর্ঘদিন ধরে অনিয়মের স্বর্গরাজ্যে পরিণত হওয়া ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট, সুন্দরবন স্কয়ার মার্কেটসহ অনেকগুলো মার্কেটের অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ করেছি, তেমনি দখলমুক্ত করা হয়েছে বুড়িগঙ্গা আদি চ্যানেল ঘিরে গড়ে ওঠা কয়েক ডজন অবৈধ বহুতল ভবন ও স্থাপনা।'

'দখলমুক্তির ধারাবাহিকতায় আমরা দীর্ঘ ৮০ বছর পর সূত্রাপুরের মাইশা খাল, ৩ দশক পর রায় সাহেব বাজার মোড়, ২ যুগ পর লক্ষ্মীবাজারে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পার্কিংয়ের জায়গা, ৪ দশক পর ধলপুর ক্লিনার কলোনি থেকে অবৈধ দখলদারত্বের অবসান ঘটিয়েছি। ফলে, বিগত ৩ বছরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন শতাধিক উচ্ছেদ অভিযানের মাধ্যমে ৩৪ একরের বেশি জমি উদ্ধার করেছে, যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৩ হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি।'

মেয়র তাপস আরও বলেন, 'সামষ্টিকভাবে বলতে পারি, দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের অটল, অদম্য ও অনমনীয় কর্মোদ্যোগের ফলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে সুশাসন নিশ্চিত হয়েছে। পাশাপাশি ঢাকাবাসীর আস্থা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে রাজস্ব আদায় বৃদ্ধির মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন আজ একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ণ সংস্থা হিসেবে যেমন নিজের পায়ে দাঁড়িয়েছে, তেমনি তাসের ঘরের মতেই ভেঙে পড়তে শুরু করেছে দীর্ঘদিনের দখলদারিত্বের পোক্ত সাম্রাজ্য। আপনাদের সবার সহযোগিতায়, আমরা দখলদারত্ব সাম্রাজ্যের অবসান ঘটিয়েই এগিয়ে চলব।'

 

Comments