নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠন চ্যালেঞ্জ করে খালেদা জিয়ার আবেদন

খালেদা জিয়া
খালেদা জিয়া। ছবি: স্টার ফাইল ফটো

নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে নিম্ন আদালতের অভিযোগ গঠনের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে একটি রিভিশন পিটিশন দায়ের হয়েছে।

খালেদা জিয়া তার আইনজীবী কায়সার কামালের মাধ্যমে আজ বুধবার হাইকোর্টে এ আবেদন দাখিল করেন।

'মামলায় অবৈধভাবে অভিযোগ গঠন করা হয়েছে' উল্লেখ করে আবেদনে নিম্ন আদালতের আদেশ বাতিলের অনুরোধ জানানো হয়েছে।

২০০৭ সালের ডিসেম্বরে দুদকের করা ওই মামলায় গত ১৯ মার্চ ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান বিএনপি চেয়ারপারসনসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

আইনজীবী কায়সার কামাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের রিভিশন আবেদনের শুনানি হাইকোর্টে 'যথাযথ প্রক্রিয়ায়' হবে।

তবে, হাইকোর্ট কেন আবেদন বিবেচনা করতে পারে, তা সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি এই আইনজীবী।

এদিকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হাইকোর্টে শুনানি হলে খালেদা জিয়ার আবেদনের বিরোধিতা করা হবে।'

এর আগেও খালেদা জিয়া নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার কার্যক্রমকে চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন। হাইকোর্ট অবশ্য সে আবেদন খারিজ করে দিয়েছিলেন।

নিম্ন আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ২৩ মে ওই মামলায় বিচার শুরু হওয়ার কথা।

২০০১-২০০৬ মেয়াদে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে কানাডিয়ান কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে গ্যাস অনুসন্ধান ও উত্তোলন চুক্তির ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, এমন অভিযোগ এনে দুদক এ মামলা করেছিল।

তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় দুদক। তাদের বিরুদ্ধে চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় কোষাগারের ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা এ কে এম মোশাররফ হোসেন ও সাবেক আইনমন্ত্রী মওদুদ আহমদসহ মামলার ৩ আসামি মারা যাওয়ায় চার্জশিট থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়।

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

8h ago