উয়েফা ইউরোপা লিগ

রানার্সআপ মেডেল ক্ষুদে দর্শককে দিলেন মরিনহো

ছবি: এএফপি

উয়েফা ইউরোপা লিগে রানার্সআপ হয়ে পাওয়া মেডেল নিজের সংগ্রহে রাখলেন না জোসে মরিনহো। মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার পথে স্মারকটি এক ক্ষুদে ফুটবল ভক্তকে ছুঁড়ে দেন এএস রোমার কোচ।

হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারেনায় বুধবার রাতের ফাইনালে টাইব্রেকারে সেভিয়ার কাছে ৪-১ গোলে হেরেছে রোমা। এর আগে নির্ধারিত ৯০ মিনিটে ১-১ গোলে সমতায় থাকা ম্যাচে অতিরিক্ত সময় শেষেও একই স্কোরলাইন ছিল।

এই প্রথম কোনো ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠে মরিনহোকে ফিরতে হলো খালি হাতে। স্বঘোষিত 'স্পেশাল ওয়ান' আগের পাঁচবারই পেয়েছিলেন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মধুর স্বাদ।

গত মৌসুমে রোমাকে উয়েফা কনফারেন্স লিগের অভিষেক আসরের চ্যাম্পিয়ন করেন পর্তুগিজ কোচ মরিনহো। এর আগে এফসি পোর্তোর হয়ে উয়েফা কাপ (বর্তমান ইউরোপা লিগ) ও উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইন্টার মিলানের হয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে ইউরোপা লিগ জেতেন তিনি।

সেভিয়া যখন ইউরোপা লিগে তাদের রেকর্ড সপ্তম শিরোপা উঁচিয়ে ধরার অপেক্ষায়, তখন রানার্সআপ মেডেল হাতে নিয়ে গ্যালারির কাছে পৌঁছে যান মরিনহো। আঙুল ও চোখের ইশারায় সামনের সারিতে থাকা এক ক্ষুদে দর্শককে চিহ্নিত করেন তিনি। এরপর মেডেলটি আলতো করে তার দিকে ছুঁড়ে দিয়ে মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যান। স্মারকটি পাওয়ায় অনুমিতভাবেই চওড়া হাসি দেখা যায় ওই ভক্তের মুখে।

পাওলো দিবালার লক্ষ্যভেদে ম্যাচের ৩৫তম মিনিটে এগিয়ে যায় রোমা। কিন্তু লিড ধরে রাখতে পারেনি ইতালিয়ান সিরি আর ক্লাবটি। দ্বিতীয়ার্ধের দশম মিনিটে জিয়ানলুকা মানচিনি নিজেদের জালেই বল পাঠালে সমতায় ফেরে সেভিয়া।

স্কোরলাইনে এরপর আর পরিবর্তন না আসায় ফাইনাল গড়ায় টাইব্রেকারে। সেখানে নায়ক বনে যান মরোক্কান গোলরক্ষক ইয়াসিন বোনু। তার নৈপুণ্যে ফের ইউরোপা লিগে চ্যাম্পিয়ন হয় সেভিয়া। ইউরোপের দ্বিতীয় সেরা এই ক্লাব আসরের ফাইনালে উঠে প্রতিবারই শিরোপা জেতার কীর্তি অক্ষুণ্ণ রাখে লা লিগার দলটি।

চারটি স্পট-কিকের সবকটিতে জাল কাঁপায় সেভিয়া। লুকাস ওকাম্পোস, এরিক লামেলা ও ইভান রাকিতিচের পর সফলতা পান গঞ্জালো মন্তিয়েল। অন্যদিকে, রোমার ব্রায়ান ক্রিস্তান্তে লক্ষ্যভেদ করলেও জিয়ানলুকা মানচিনির শট পা দিয়ে ঠেকান বোনু। এরপর রজার ইবানেজের স্পট-কিক পোস্টে লেগে ফিরে আসে।

Comments

The Daily Star  | English
How do we avoid a debt trap?

How do we avoid a debt trap?

The debt bubble is ominous, given Bangladesh’s narrow export base and heavy reliance on remittance inflows.

7h ago