সেভিয়ার সফলতার ইতিহাস নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না মরিনহো

এএস রোমার কোচের মতে, যোগ্য দল হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তার দল।
ছবি: এএফপি

প্রতিপক্ষ উয়েফা ইউরোপা লিগের সফলতম ক্লাব সেভিয়া। তবে অতীত পরিসংখ্যান নিয়ে মাথা ঘামাতে রাজী নন জোসে মরিনহো। এএস রোমার কোচের মতে, যোগ্য দল হিসেবে ফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তার দল। আর মাঠের খেলায় ইতিহাস কোনো প্রভাব ফেলবে না বলেই মনে করেন তিনি।

বুধবার বাংলাদেশ সময় দিবাগত রাত একটায় শুরু হবে ইউরোপা লিগের শিরোপা নির্ধারণী লড়াই। হাঙ্গেরির পুসকাস অ্যারেনায় ইতালিয়ান সিরি আর রোমা মুখোমুখি হবে স্প্যানিশ লা লিগার সেভিয়ার।

ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ মহাদেশীয় ক্লাব প্রতিযোগিতা ইউরোপা লিগের 'স্পেশালিস্ট' বলা যায় সেভিয়াকে। তারা রেকর্ড ছয়বারের চ্যাম্পিয়ন। ফাইনালে উঠে কখনোই হারের স্বাদ নেয়নি তারা। এর মধ্যে আছে হ্যাটট্রিক চ্যাম্পিয়ন হওয়ার নজিরও। সেভিয়া শিরোপা জিতেছে ২০০৬, ২০০৭, ২০১৪, ২০১৫, ২০১৬ ও ২০২২ সালে। তাদের হারাতে হলে রোমাকে তাই নিঃসন্দেহে নিজেদের সেরাটা নিংড়ে দিতে হবে।

ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রতিযোগিতায় মরিনহোর রেকর্ডের ঝুলিও ভীষণ সমৃদ্ধ। পাঁচবার ফাইনালে গিয়ে প্রতিবারই দলকে জিতিয়েছেন স্বঘোষিত 'স্পেশাল ওয়ান'। গত মৌসুমে তার অধীনে উয়েফা কনফারেন্স লিগের অভিষেক আসরে চ্যাম্পিয়ন হয় রোমা। এবার তারকা পর্তুগিজ কোচের সামনে রয়েছে আরেকটি শিরোপার হাতছানি।

ইতিহাস ও পরিসংখ্যান বিচারে ফাইনালে সেভিয়া ফেভারিট। তবে তাদের বিপরীতে নিজেদের খাটো করে দেখছেন না মরিনহো। গতকাল মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, 'আমাদের জন্য এটা একটা লম্বা অভিযান, আমাদের প্রতিপক্ষের চেয়ে যেটা আলাদা। তারা উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বাদ পড়ার পর এই প্রতিযোগিতায় এসেছে।'

'ইতিহাস মাঠে খেলতে নামবে না। আমার সহকর্মী (সেভিয়ার কোচ হোসে লুইস মেন্দিলিবার) অবশ্য উল্টোটা মনে করেন। তার প্রতি আমার শ্রদ্ধা রয়েছে। তিনি বিশ্বাস করেন যে ইতিহাসের কারণে সেভিয়া ফেভারিট। সেই মতামতের প্রতিও আমার সম্মান রয়েছে। আমরাও ফাইনালে উঠেছি কারণ, আমরা এখানে থাকার যোগ্য।'

ফাইনাল খেলাকে অসাধারণ কিছু উল্লেখ করে মরিনহো যোগ করেছেন, 'তাদের এমন একটি ইতিহাস রয়েছে যা আমাদের নেই, তাদের গর্ব করার মতো অভিজ্ঞতা রয়েছে যা আমাদের নেই। তাদের জন্য ফাইনাল খেলা একটি সাধারণ বিষয়, আমাদের জন্য এটি একটি অসাধারণ ঘটনা। তবে আগামীকাল (বুধবার) যখন খেলাটা শুরু হবে, আমরা তৈরি হয়েই নামব।'

Comments

The Daily Star  | English

Ratan Tata no more

The 87-year-old industrialist was admitted to Breach Candy Hospital for age-related ailments

54m ago