বাজেটে জনবান্ধব কিছু নেই: জি এম কাদের

জি এম কাদের। ছবি: সংগৃহীত

এই বাজেটে জনবান্ধব বা কল্যাণমুখী কিছু দেখছি না। নিম্নবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্ত ও গরিব মানুষ যাতে বেঁচে থাকতে পারে তা এই বাজেটে নেই। এই বাজেট জনবান্ধব বলা যাচ্ছে না।

আগামী ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট নিয়ে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেছেন।

তিনি বলেন, প্রত্যক্ষ করের পাশাপাশি সব কিছুতেই পরোক্ষ কর দেওয়া হয়েছে। এতে সাধারণ ও মধ্যবিত্তের কষ্ট বাড়বে। জিনিসপত্রের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমুখী। দাম আরও বাড়বে। মানুষের আয় কমেছে কিন্তু জিনিস পত্রের দাম বেড়েই চলবে।

জি এম কাদের বলেন, এখন ভোট বাড়া বা কমায় কিছু যায় আসে না। স্বাভাবিকভাবে আওয়ামী লীগের ভোট কমার কথা। নির্বিঘ্নে বলা যায়, জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। এমনিতেই দেশের মানুষ অতিষ্ঠ, সাধারণ মানুষের স্বস্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই। ঋণের বিনিময়ে আইএমএফ যে শর্ত দিয়েছে তাতে জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। আমার মনে হয়, এই বাজেটে দ্রব্যমূল্য কমবে না বরং বাড়বে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এই বাজেট দিয়ে নির্বাচনী বৈতরণী পার হওয়ার চেষ্টা আছে বলে মনে হয় না। তাদের হয়তো অন্য মেকানিজম আছে। এই বাজেটে পরিচালন ব্যয় অনেক বাড়ানো হয়েছে। পরিচালন ব্যয়ের মধ্যে সব কিছুই করা সম্ভব। কৃচ্ছ্রতা সাধনের জন্য পরিচালন ব্যয় কমানো দরকার। আমরা মনে করি, আগে যা ছিল সেটাই বেশি ছিল। যেটা আমাদের বাজেট দিয়ে সাপোর্ট দেওয়া যেত না। আমাদের উন্নয়ন ব্যয় দেশি-বিদেশি ঋণ নির্ভর ছিল, এটা এখন আরও বেড়েছে। তিনি বলেন, খুব সহজভাবে পরিচালন ব্যয় করা যাবে। যেখানে-সেখানে ব্যয় করা যাবে নিয়ে। পরিচালন ব্যয় দিয়ে নির্বাচনে সুবিধা নিতে পারবে। অন্যদিকে, উন্নয়ন ব্যয় অনেক কম। অর্থ দিয়ে নির্বাচন পার করার একটি পরিস্থিতি হতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Money laundering: NBR traces Tk 40,000cr in assets abroad

The National Board of Revenue has found assets worth nearly Tk 40,000 crore in five countries which it believes were bought with money laundered from Bangladesh, said the Chief Adviser’s Office yesterday.

6h ago