‘গাছ কাটতে লাগবে সিটি করপোরেশনের অনুমতি’

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মহাখালী-গুলশান সড়কের সড়ক বিভাজন প্রশস্তকরণে শত শত গাছ কেটে ফেলা হয়। ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম সম্প্রতি দুই লাখ গাছ লাগানোর যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তার সঙ্গে এই পদক্ষেপ সাংঘর্ষিক। ছবি: প্রবীর দাশ/ স্টার

অনুমতি ছাড়া নগরীর গাছ কাটলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম।

তিনি বলেছেন, 'গাছ কাটলে কেউ শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না।'

নির্দেশ অমান্য করে গাছ কাটার জন্য এক ঠিকাদারকে কালো তালিকাভুক্ত এবং ওই প্রকল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ২ প্রকৌশলীকে বরখাস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে গত শুক্রবার তিনি বলেন, 'আমরা ইতোমধ্যেই কোনো গাছ না কেটে উন্নয়ন কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছি।'

মেয়র আতিকুল বলেন, 'কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান গাছ কাটতে চাইলে সিটি করপোরেশনকে জানাতে হবে। প্রয়োজনে আমরা পরিবেশবিদ ও নগর পরিকল্পনাবিদদের সঙ্গে আলোচনা করে অনুমতি দেবো।'

নগরীর গাছ কাটতে সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে অনুমতি নেওয়ার প্রক্রিয়া এবং এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে ডিএনসিসি অঞ্চল-৫ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোতাকাব্বীর আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিটি করপোরেশনের এখতিয়ারভুক্ত যে গাছগুলো আছে সেগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি। ব্যক্তি মালিকানাধীন গাছের বিষয়ে আমরা এমন অনুমতির কথা বলতে পারি না।'

তিনি আরও বলেন, 'মেয়র সেইসব গাছের কথাই বলেছেন যেগুলো সিটি করপোরেশনের এখতিয়ারভুক্ত। আমাদের টাউন প্ল্যানার একটি উইং আছে। তারা নগর ভবনেই বসে এবং গাছ কাটার প্রয়োজন হলে বিষয়টি তারাই মনিটর করে।'

'রাস্তার পাশের কোনো গাছ কাটতে হলে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিতে হচ্ছে। সেই গাছটি কারা কাটছে বা কেন কাটছে—সে বিষয়টি জানিয়ে তারপর গাছ কাটতে হচ্ছে। এমনকি মেট্রোরেলের কাজের সময় যখন গাছ কাটতে হয়েছে, তারাও আমাদের অনুমোদন নিয়েছে,' যোগ করেন তিনি।

সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে খালের পাড়, রাস্তার ডিভাইডার ও ফুটপাতে গাছ লাগানো শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন মেয়র আতিক। তার ভাষ্য, 'মানুষের খাওয়ার জন্য খালের পাড়ে ফলের গাছ লাগানো হবে। ফুটপাতে গাছ লাগানো হবে যাতে পাখি বসতে পারে।'

Comments

The Daily Star  | English
cyber security act

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

5h ago