গুলশান-বনানী এলাকায় নেই কোনো ফায়ার স্টেশন

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ দেওয়ার মতো কোনো জমি নেই।'
গুলশানে ১২তলা ভবনটিতে আগুন লাগে। ছবি: পলাশ খান/স্টার

ঢাকার গুলশান ও বনানী এলাকায় ফায়ার সার্ভিসের কোনো স্টেশন নেই। ফলে সেখানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে অনেক সময় ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের পৌঁছাতে দেরি হয় বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর।

তবে, গতকালের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কল পাওয়ার ১০ মিনিটের মধ্যে তারা পৌঁছাতে সক্ষম হন। কিন্তু, সেখানে আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে অন্যান্য জটিলতা ছিল।

যদিও গতকাল ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পেরেছিল, তবে ভবিষ্যতের যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতির জন্য গুলশান ও বনানী এলাকার আশেপাশের একটি ফায়ার স্টেশন অত্যাবশ্যক।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, এসব এলাকায় অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য স্থান বরাদ্দের চেয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনকে (ডিএনসিসি) চিঠি দেওয়া হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা ২ সিটি করপোরেশনের মেয়রকে চিঠি দিয়েছি। কিন্তু কোনো সাড়া পাইনি। আমি আজ আবারও ডিএনসিসি মেয়রের কাছে চিঠি জমা দেবো।'

'গুলশান ও বনানী এলাকায় একটি স্যাটেলাইট ফায়ার ফাইটিং স্টেশন স্থাপনের জন্য ৩০ বাই ৫০ ফুটের মতো ছোট জায়গা বরাদ্দের জন্য ডিএনসিসিকে চিঠি দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস', বলেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সিটি করপোরেশনের বরাদ্দ দেওয়ার মতো কোনো জমি নেই।'

'ফায়ার সার্ভিসের উচিত রাজউককে চিঠি দেওয়া, সিটি করপোরেশনকে নয়', বলেন তিনি।

রিস্ক অ্যান্ড পারফরমেন্স ম্যানেজমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আলী আহাম্মেদ খান ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গুলশান ও বনানী এলাকায় ফায়ার স্টেশন না থাকায় ওইসব এলাকায় আগুন লাগলে ভাটারা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ইউনিটগুলো ঘটনাস্থলে যায়। ফলে কিছুটা সময় লাগে।'

ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন এলাকায় প্রায় ২০টি ফায়ার স্টেশন রয়েছে।

Comments