ভারতীয় ট্রাকচালকদের ধর্মঘটে হিলি স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ

ভারতীয় ট্রাকচালক ও সহকারীদের ধর্মঘটের কারণে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে বন্ধ রয়েছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আমদানি-রপ্তানি।

বন্দর কর্মকর্তারা জানান, ভারতীয় এক ট্রাকচালককে বন্দর এলাকার বাইরে যেতে বাধা দেওয়ার প্রতিবাদে তারা ধর্মঘট শুরু করেন। 

তারা আরও জানান, শনিবার বিকেলে ওই ট্রাকচালক বন্দর এলাকা থেকে বাইরে যাওয়ার চেষ্টা করলে নিরাপত্তারক্ষীরা বাধা দেন। এ নিয়ে ওই চালকসহ অন্য চালক ও তাদের সহকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের বাকবিতণ্ডা ও হাতাহাতি হয়। 

এ ঘটনার পর দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি-পানামা পোর্ট লিংক লিমিটেডের দুটি প্রবেশ ও বহির্গমন গেট এক ঘণ্টা অবরোধ করে রাখেন ভারতীয় ট্রাকচালক ও সহকারীরা। এতে যান চলাচল বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে।

এ সমস্যার কোনো সমাধান না হওয়ায় আজ রোববার তারা ট্রাক চলাচল স্থগিত রাখলে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যায়। 

বন্দরের আমদানিকারক শাহিনুর রেজা শাহিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'রোববার বন্দর দিয়ে ভারত থেকে কোনো পণ্যবোঝাই ট্রাক বাংলাদেশে আসেনি। আবার কোনো পণ্য রপ্তানিও হয়নি।' 

তিনি বলেন, ভারতীয় ট্রাক ও হেলপারদের অবাধে চলাচলের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে বন্দর এলাকায়। রোববার সকালে ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর ভারতের অভ্যন্তরে অনেক পণ্য বোঝাই ট্রাক আটকা পড়ে আছে।

তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে দ্রুত সমস্যার সমাধানের দাবি জানান।

হিলি বন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন ডেইলি স্টারকে জানান, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যা সমাধানের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। 

তিনি বলেন, বন্দর এলাকায় অবাধে ভারতীয় ট্রাকের চলাচলে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

প্রায় ৩০০ ভারতীয় ট্রাক ও তাদের সহযোগী সাধারণত বন্দর এলাকায় অবস্থান করে। 

বন্দর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ভারতীয় ট্রাক ও হেলপারদের জন্য বন্দর অভ্যন্তরে সবধরনের সুযোগ সুবিধা আছে। বন্দর এলাকা থেকে বের হওয়ার পর চালক ও হেলপাররা বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত হয় বলে বন্দর যার এই জন্য সরকারিভাবে এই নিয়ম আরোপ করা হয়েছে বলে জানান বন্দর কর্তৃপক্ষ। 

তবে বন্দর এলাকায় ইমিগ্রেশন সার্ভিস স্বাভাবিক রয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English

Next nat'l polls: BNP urges CA, CEC to disclose what they discussed

Ensuring free and fair polls is now the main responsibility of EC and govt, he says

1h ago