বিএসএমএমইউর অনিয়মের অভিযোগ গুরুত্ব দিয়ে দেখব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহেদ মালিক। ফাইল ছবি

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) নিয়োগে অনিয়ম ও সুপার স্পেশালাইজড ইউনিট এখন পর্যন্ত পূর্ণাঙ্গরূপে চালু করতে না পারাসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগগুলো গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হবে।

আজ বুধবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে ইতোমধ্যে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে সংবাদমাধ্যমগুলোতে। 

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেছেন, 'জাতির পিতার নামে এ বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের কাছে অনেক আবেগ-অনুভূতির বিষয়। এখানকার যেকোনো কিছুতে আমরা গুরুত্ব দিয়ে থাকি। বিশ্ববিদ্যালয়টির নিয়োগ কার্যক্রমসহ নানা অভিযোগ আমাদের কানে এসেছে। আমরা এগুলো গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখব।'

মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, 'বিএসএমএমইউর কোনো অনিয়ম আমরা হতে দিতে পারি না। তবে, বিশ্ববিদ্যালয়টি একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান। তারা নিয়োগ, ক্রয়-বিক্রয়সহ যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিজেরাই নেয়। আমাদের সংশ্লিষ্টতা খুব বেশি থাকে না।'

'হাসপাতালটিতে সরকার অর্থায়ন করে' উল্লেখ করে তিনি বলেন, 'সে হিসেবে আমরা অবশ্যই অনিয়মের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখব। হাসপাতালটিতে আসা রোগীদের স্বাস্থ্যসেবা পেতে যেন ব্যাহত না হয়, আমরা সেটাই চাই।'

তিনি আরও বলেন, 'সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালটি ১৩০০ কোটিরও বেশি টাকা খরচ করে তৈরি করা হয়েছে। যদিও নিয়োগ নিয়ে অনেক কথাবার্তা হয়েছে, বড় একটি নিয়োগ কিন্তু সামনে আছে। তবে সেই নিয়োগের কমিটিতে উপাচার্য শারফুদ্দিন আহমেদকে রাখা হয়নি। একটি শক্তিশালী কমিটি করেই সেই নিয়োগ কার্যক্রমটি সম্পন্ন করা হবে।'

ক্যানসার হাসপাতালের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, 'ক্যানসার হাসপাতালে সমস্যা একদিনে হয়নি। আমি মন্ত্রী হওয়ার আগে প্রতিমন্ত্রী ছিলাম। এরপর নানা সময়ে জটিলতা ছিল। করোনার কারণেও যন্ত্র কেনাকাটায় সমস্যা হয়েছে। তবে, আমরা চেষ্টা করছি। শিগগির সমাধান হবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

8h ago