মেসির মায়ামিতে যাওয়ার পেছনে নেই আর্থিক কারণ

ছবি: এএফপি

ইন্টার মায়ামিতে যোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় অঙ্কের অর্থ কোনো ভূমিকা রাখেনি বলে জানালেন লিওনেল মেসি। তেমনটা হলে সৌদি আরব বা অন্য কোথাও যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিতেন তিনি। বার্সেলোনার সঙ্গে চুক্তি নিয়ে কোনো আলোচনা না হওয়ার বিষয়টিও উল্লেখ করলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা।

বিশ্বকাপজয়ী মেসির ক্লাব ক্যারিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে যে জল্পনা-কল্পনা চলছিল, সেটার অবসান ঘটেছে। গতকাল বুধবার ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসিতে তার মায়ামিকে বেছে নেওয়ার খবরটি প্রথম প্রকাশিত হয়। এরপর ৩৫ বছর বয়সী ফরোয়ার্ড নিজেই যুক্তরাষ্ট্রের মেজর সকার লিগের ক্লাবটিতে যাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।

মেসির এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখন ফুটবল দুনিয়ায় চলছে চর্চা, চলছে সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা খোঁজা। তার পুরনো ঠিকানা বার্সেলোনায় ফেরার গুঞ্জন ছিল লম্বা সময় ধরে। আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের খবর অনুসারে, সৌদি প্রো লিগের ক্লাব আল হিলালের বিপুল পরিমাণ অর্থের লোভনীয় প্রস্তাবও পেয়েছিলেন তিনি। সেই তুলনায় মায়ামিতে যাওয়ার সম্ভাবনা কমই আলোচিত হচ্ছিল।

আল হিলালের তুলনায় মায়ামিতে মেসি পারিশ্রমিক কম পাবেন। তবে ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তির মাধ্যমে অ্যাডিডাস ও অ্যাপলের কাছ থেকে তার আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা জানিয়েছে বিবিসি। এছাড়া, মায়ামির স্পন্সরশিপের স্বত্ব ও টিকিট বিক্রির অর্থের একটি অংশ তিনি পাবেন। ভবিষ্যতে ক্লাবটির মালিকানার অংশ পাওয়ার প্রস্তাবও মেসিকে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে তার।

ক্রীড়া বিষয়ক স্প্যানিশ গণমাধ্যম মুন্দো দেপোর্তিভোর কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবশ্য আর্থিক দিকটি তাকে প্রভাবিত করেনি বলে জানান মেসি, 'সত্যি বলতে, অর্থনৈতিক ব্যাপারটা আমার কাছে কখনোই সমস্যা বা বাধা ছিল না।

লা লিগা থেকে সবুজ সংকেত পেলেও মেসিকে কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব দেয়নি বার্সেলোনা। তিনি জানান, দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা হলেও সেখানে উঠে আসেনি চুক্তির বিষয়টি। পারিশ্রমিক নিয়েও কোনো দর কষাকষি হয়নি, 'এবার আমরা চুক্তি নিয়ে কখনও কোনো কথা বলতেও যাইনি। আমাকে একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। তবে কখনোই আনুষ্ঠানিক, লিখিত বা স্বাক্ষর করা কোনো প্রস্তাব ছিল না। কারণ, আমরা জানতামও না এটা (বার্সায় ফেরা) সম্ভব হতে যাচ্ছে কিনা। আমাদের মধ্যে (আলোচনায়) কোনো অগ্রগতিই হয়নি। আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে পারিশ্রমিক নিয়ে কোনো কথাও বলিনি।'

অর্থ তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হলে মায়ামিতে যেতেন না বলে জানান মেসি, 'যদি এটা অর্থের বিষয় হতো, তাহলে সৌদি আরব বা অন্য কোথাও যেতাম। (কেননা) আমার কাছে মনে হয়েছে, (তারা) অনেক অর্থ দিতে চেয়েছে। সত্যিটা হলো, অর্থের জন্য নয়, বরং ভিন্ন কারণে আমার এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া।'

Comments

The Daily Star  | English

Confronting Dhaka’s battery-run rickshaw dilemma

One of the more recent manifestations of informal urban expansion is the proliferation of battery-run rickshaws.

6h ago