লক্ষ্মীপুর

আসামি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে ওসির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। 
লক্ষ্মীপুর
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান লুটপাট মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তারের পর ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে লক্ষ্মীপুরের কমলনগর থানার ওসির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। 

কমলনগর উপজেলার মধ্য চরমার্টিন গ্রামের বাসিন্দা ও তোরাবগঞ্জ বাজারের হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী মজিবুর রোববার দুপুরে লক্ষ্মীপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলা করেন।
মামলায় ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানসহ ৪ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আদালতের পেশকার মো. জসিম উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, শুনানি শেষে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (কমলনগর) আদালতের বিচারক তারেক আজিজ মামলাটি আমলে নিয়ে ওসি মোহাম্মদ সোলাইমানসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে সমন জারি করেছেন।

২০ জুন তাদের আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। 

অপর আসামিরা হলেন-কমলনগর উপজেলার চরজাঙ্গালিয়া গ্রামের শাহজাহান, চরমার্টিন গ্রামের নুর আলম ও চরলরেন্স গ্রামের কাউছার। 

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মজিবুরের সঙ্গে আসামি শাহজাহানের জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। এ ঘটনার জেরে শাহজাহান মজিবুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা করে। মামলায় ১৮ এপ্রিল পুলিশ মজিবুরকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়।

১৪ দিন পর জামিনে মুক্ত হন মজিবুর। তিনি কারাগারে থাকাকালে ২৪ এপ্রিল শাহজাহান ও তার লোকজন মজিবুরের দোকানের গ্রিল ভেঙে ১০ লাখ টাকার মালামাল লুট করে এমন অভিযোগে কারাগার থেকে বের হয়ে ৪ জুন তিনি শাহজাহানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেন। 

মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হলে ৭ জুন কমলনগর থানা পরোয়ানা নথিভুক্ত করে। ৮ জুন বিকেলে তোরাবগঞ্জ বাজার থেকে শাহজাহান ও মাইন উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করেন কমলনগর থানার উপপরিদর্শক ইকবাল হোসেন।

পরদিন ৯ জুন অবৈধ আর্থিক লেনদেন করে ওসি সোলাইমান আসামি শাহজাহানকে ছেড়ে দেয় বলে  অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। 

জানতে চাইলে ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'মামলার বিষয়টি আমার জানা নেই। এখনো আদালতের কোনো চিঠি পাইনি।'

আসামি ছেড়ে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আসামি শাহজাহান হার্টের রোগী ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে শর্তসাপেক্ষে ছাড়া হয়েছে।'

Comments

The Daily Star  | English
Impact of esports on Bangladeshi society

From fringe hobby to national pride

For years, gaming in Bangladesh was seen as a waste of time -- often dismissed as a frivolous activity or a distraction from more “serious” pursuits. Traditional societal norms placed little value on gaming, perceiving it as an endeavour devoid of any real-world benefits.

15h ago