৮ বছর পর দেশে ফেরার অনুমতি পেলেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন

সালাহউদ্দিন আহমেদ
সালাহউদ্দিন আহমেদ। স্টার ফাইল ফটো

ভারতে আটকের ৮ বছর পর দেশে ফেরার জন্য ট্রাভেল পাস পেয়েছেন বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ।

ভারতের মেঘালয় রাজ্যের শিলংয়ে অবস্থানরত সালাহউদ্দিন গতকাল সোমবার ট্রাভেল পাস পেয়েছেন বলে দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন।

গত ৮ জুন জারি করা এ ট্রাভেল পাসে তাকে ৩ মাসের মধ্যে দেশে ফিরে আসতে বলা হয়েছে।

ভারতে অনুপ্রবেশ মামলায় মেঘালয়ের শিলং জজ কোর্ট থেকে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি খালাস পান বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমেদ।

পাসপোর্ট না থাকায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন দেশে ফিরতে ট্রাভেল পারমিটের জন্য গৌহাটিতে বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনে আবেদন করেন।

ট্রাভেল পাস পেয়ে সালাউদ্দিন আজ মঙ্গলবার টেলিফোনে ডেইলি স্টারকে বলেন, 'গতকাল গৌহাটিতে বাংলাদেশ হাইকমিশন থেকে ট্রাভেল পাস পেয়েছি। এখানে কিছু আনুষ্ঠানিকতা এবং শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ করে আমি দেশে ফিরব।'

২০১৫ সালের ১০ মার্চ রাজধানীর উত্তরা থেকে নিখোঁজ হন সালাহউদ্দিন আহমেদ। নিখোঁজের ৬৩ দিন পর ১১ মে ভারতের মেঘালয়ের শিলংয়ে স্থানীয় পুলিশ সালাহউদ্দিনকে উদ্ধার করে বলে জানা যায়।

বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ফরেনার্স অ্যাক্ট অনুযায়ী তাকে গ্রেপ্তার দেখায় মেঘালয় থানা পুলিশ। একই বছরের ২২ জুলাই ভারতের নিম্ন আদালতে আনুষ্ঠানিকভাবে তার বিরুদ্ধে অনুপ্রবেশের দায়ে অভিযোগ গঠন করা হয়।

সালাউদ্দিন মেঘালয় পুলিশকে বলেছিলেন, গোয়েন্দা পরিচয় দিয়ে কিছু লোক তাকে ঢাকার উত্তরার বাড়ি থেকে তুলে নিয়েছিল।

তিনি বলেন, 'প্রায় রাতভর গাড়িতে যাওয়ার পর একটি এসইউভিতে করে তাকে শিলং নিয়ে যাওয়া হয়।'

তবে কারা তাকে সেখানে নিয়ে গিয়েছিলে তা বলতে পারেননি তিনি।

১৯৯১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সহকারী একান্ত সচিব ছিলেন সালাহউদ্দিন। পরে সরকারি চাকরি ছেড়ে বিএনপিতে যোগ দেন তিনি। ২০০১ সালে তিনি কক্সবাজার থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

মেঘালয়ে গ্রেপ্তারের সময় তিনি বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব পদে ছিলেন। ভারতের কারাগারে থাকা অবস্থায় বিএনপি তাকে স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত করে।

 

Comments

The Daily Star  | English

'Election Commission shamelessly favouring a particular party'

Hasnat Abdullah says police obstructed NCP leaders and activists from entering EC building

1h ago