এক দফা দাবিতে জুলাই থেকে মাঠে নামবে বিএনপি

সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন, এই এক দফা দাবিতে জুলাই থেকে আন্দোলনে যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বিএনপি।

আগামী মাসে রাজধানীতে এক জনসভা থেকে বিএনপি এ বিষয়ে ঘোষণা দেবে বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে।

গত সোমবার বিএনপির নীতিনির্ধারণী সংস্থা বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এক দফা আন্দোলনের খসড়া প্রস্তুত করা হয়।

বিএনপি নেতারা জানান, শুক্রবার স্থায়ী কমিটির আরেকটি বৈঠকের পর এ ঘোষণার সময় ও আন্দোলনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

সরকারবিরোধী আন্দোলনে শরিকদের সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছে দলটি। বিএনপির সমমনা দলগুলোর নেতারা যত দ্রুত সম্ভব এক দফা দাবিতে আন্দোলন করার পরামর্শ দিয়েছেন।

নেতৃবৃন্দ সরকারবিরোধী সম্ভাব্য বিক্ষোভ নিয়ে আলোচনা করলেও তাদের অধিকাংশই মনে করেন ধর্মঘট ও অবরোধের মতো কর্মসূচি পালন করা উচিত নয়। কারণ এর ফলে আন্দোলনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।

১০ দফা দাবিতে প্রায় ৬ মাস ধরে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে বিএনপি।

বিএনপির এক জ্যেষ্ঠ নেতা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, আগামী মাস থেকে সরকারবিরোধী আন্দোলন আরও জোরদার হবে।

সোমবার দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে একযোগে আন্দোলনের বিষয়ে যৌথ ঘোষণার রূপরেখা নিয়ে আলোচনা হয়। বিএনপি ও তার সমমনা রাজনৈতিক দলগুলো এ ঘোষণা দেবে।

বিএনপির শরিকদের মধ্যে ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে এই ঘোষণা স্থগিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন অধিকাংশ নেতা।

সংবিধানের ৭০ অনুচ্ছেদ সংশোধন, দ্বিকক্ষবিশিষ্ট সংসদের নির্বাচন প্রক্রিয়া, সংসদ সদস্যদের ক্ষমতা ও নির্বাচনকালীন সরকারের কার্যক্রম নিয়ে বিএনপি ও গণতন্ত্র মঞ্চের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।

বিএনপি নেতারা বলেন, যেহেতু দলটি সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিচ্ছে, তাই তাদের শরিকদের অবশ্যই দলের ওপর আস্থা রাখতে হবে। অন্যথায় সমমনা অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এক দফা আন্দোলনে নামবে বিএনপি।

গতকাল বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১২ দলীয় জোট ও জাতীয়তাবাদী সমমনা জোটের সঙ্গে বৈঠক করে বিএনপি।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সোমবারের বৈঠকে বিএনপি নেতারা বলেছেন, নতুন মার্কিন ভিসা নীতি ঘোষণার পর সরকার মারাত্মক চাপের মধ্যে রয়েছে এবং বিরোধী দলকে রাস্তায় নামতে বাধা দিলে চাপ আরও বাড়বে।

Comments

The Daily Star  | English

US retailers lean on suppliers to absorb tariffs

Rather than absorbing the cost or immediately passing it on to consumers, many US apparel retailers and brands have turned to their suppliers in Bangladesh, demanding they share the pain

6h ago