তিস্তার পানি এখন বিপৎসীমার নিচে

তিস্তার পানিতে রাস্তাঘাট ডুবে যাওয়ায় দুর্ভোগে পড়েছেন লালমনিরহাট সদর উপজেলার রাজপুর ইউনিযনের তাজপুর গ্রামের মানুষ। ছবিটি সোমবার বিকালে তোলা। ছবি: এস দিলীপ রায়

উজানে ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল আর বৃষ্টিতে আজ সোমবার সকালে তিস্তা নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করলেও বিকেলে তা নিচে নেমে এসেছে। তিস্তার দুপাশের নিম্নাঞ্চল ও চরগুলো থেকেও পানি নেমে গেছে।

সোমবার সকাল ৬টায় লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় দোয়ানীতে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমা ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার অতিক্রম করে ৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। বিকেল ৩টায় পানি বিপৎসীমার ১৭ সেন্টিমিটার নিচে নেমে আসে।

লালমনিরহাট পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শুনীল কুমার সোমবার বিকেলে দ্য ডেইলি স্টারকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শুনীল বলেন, 'ভারত থেকে পাহাড়ি ঢলে তিস্তার পানি বেড়ে গিয়েছিল। পাহাড়ি ঢল শেষ হলে দ্রুত পানি নেমে যায়। সকালে তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছিল। সকাল ৯টা থেকে পাহাড়ি ঢলের পানি আসা বন্ধ হলে তিস্তায় পানি কমতে থাকে। তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার নিচে নামলেও কাউনিয়া পয়েন্টে তা বিপৎসীমার কাছাকাছি আছে।'

লালমনিরহাট সদর উপজেলার তাজপুর গ্রামের কৃষক নগেন চন্দ্র বর্মণ (৬৫) আজ দুপুরে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, সকালে তিস্তায় পানি বাড়তে দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। সকালে ঘরের ভেতর পানি ঢুকেছিল। দুপুর থেকে নদীর পানি নামতে শুরু করে। তিস্তার পানি যত দ্রুত বাড়ে আবার তত দ্রুতই নেমে যায়।

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কালমাটি গ্রামের কৃষক মনতেজ আলী সরকার (৬০) বলেন, সকালে ঘরের ভেতর পানি ঢোকায় রাস্তার ওপর আশ্রয় নিয়েছিলাম। দুপুরে বাড়িতে ফিরে এসেছি।

লালমনিরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান সুজন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তিস্তাপাড়ে এখনো বন্যা হয়নি। দ্রুত পানি নেমে যাওয়ায় তেমন ক্ষতি হয়নি। বন্যা মোকাবিলায় আমাদের প্রস্তুতি আছে।

 

Comments

The Daily Star  | English

How Trump’s reciprocal tariff challenged WTO’s multilateral trading system

Bangladesh is in an advantageous position compared with other competing countries in the US market

30m ago