সৌদি আরবে আগুনে মৃত ৯ বাংলাদেশির পরিচয় পাওয়া গেছে

সৌদি আরবের আল আহসা শহরের আগুনের ঘটনায় ৯ প্রবাসী বাংলাদেশি বাংলাদেশিসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। বাকী একজন ভারতের নাগরিক।

গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে রাজধানী রিয়াদ থেকে ৩৫০ কিলোমিটার দূরে আল আহসা শহরের হুফুফ ইন্ড্রাস্ট্রিয়াল সিটি এলাকায় একটি সোফা কারখানায় ওই আগুনের ঘটনা ঘটে।

রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস উইং সচিব ফখরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, ঘটনাস্থলে আগুনে দগ্ধ হয়ে ৯ জন প্রবাসী বাংলাদেশি মারা গেছেন এবং ২ জন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন — রাজশাহীর বাগমারার জফির উদ্দিন ছেলে মো. রুবেল হোসাইন, জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইনের ছেলে আরিফ, আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে ফিরুজ আলী সরদার, নাটোরের নলডাংগার মো. দবির উদ্দিন ছেলে মোহাম্মদ উবায়দুল, নওগাঁর আত্রাইয়ের আইজাক প্রামানীকের ছেলে রমজান, রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার, মাদারীপুরের কালকিনির ইউনুস ঢালীর ছেলে জুবায়েত ঢালী এবং সাভারের নগরকুন্দার মৃত আলাউদ্দীনের ছেলে সাইফুল ইসলাম।

ঘটনাস্থল থেকে জীবিত উদ্ধার হওয়া বাংলাদেশী কর্মী বিপ্লব হোসেন ও মো. জুয়েল হোসেন দূতাবাস প্রতিনিধিকে জানান, ভারতীয় নাগরিকের পরিচালনাধীন সোফা কারখানাটিতে ১৪ জন বাংলাদেশি কর্মী কাজ করতেন। শুক্রবার জুমার নামায শেষে খাওয়া দাওয়া করে কারখানার উপরের আবাসনে কর্মীরা ঘুমিয়ে ছিলেন। হঠাৎ নীচ থেকে আগুন আগুন চিৎকার শুনে তারা দুজন দ্রুত সিঁড়ি দিয়ে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করেন। চারদিকে কালো ধোঁয়ায় অন্ধকারে প্রবেশপথ আচ্ছন্ন হয়ে যায়। তারা দুজন বেরিয়ে আসতে পারলেও বাকিরা কালো ধোঁয়ায় পথে হারিয়ে ফেলেন এবং নি:শ্বাস বন্ধ হয়ে মারা যান। ওই সময় ৩ জন কর্মী কারখানার বাইরে থাকায় তাদের কোনো সমস্যা হয়নি।

দুর্ঘটনা সম্পর্কে জানার পর কাউন্সেলর (শ্রম) মুহাম্মাদ রেজায়ে রাব্বী দূতাবাসের কর্মকর্তাদের নিয়ে ঘটনাস্থলে যান।

 ওই ঘটনায় সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী শোক প্রকাশ করেছেন। 

তিনি পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী মরদেহ বাংলাদেশে পাঠানো বা স্থানীয়ভাবে দাফনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য সার্বিক সহায়তার দেওয়ার জন্য শ্রমকল্যাণ উইংকে নির্দেশ দিয়েছেন।  

Comments

The Daily Star  | English

Threat of fresh Rohingya influx looms as clashes erupt in Myanmar

Gunfire and explosions were heard late Friday night from villages across the border in Myanmar opposite Whykong union in Teknaf upazila of Cox’s Bazar. Residents, gripped by panic, reported that this was the most intense gunfire they had heard in months.

1h ago