শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের গাড়ি কিনতে হবে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার মধ্যে

২০২৩-২৪ অর্থবছর, বাজেট, বিদেশ ভ্রমণ, অর্থ মন্ত্রণালয়,

গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকার গাড়ি কেনা যাবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তিতে জনানো হয়েছে।

এর আগে, গত ২ জুলাই বৈদেশিক মুদ্রার ওপর চাপ কমাতে ও কৃচ্ছ্র সাধনে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পরিচালন ও উন্নয়ন বাজেটের আওতায় সরকারি দপ্তরে সব ধরনের যানবাহন ক্রয় বন্ধ থাকবে বলে পরিপত্র জারি করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। 

তবে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে সরকার বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও পরিদপ্তরের সরকারি কর্মচারীদের জন্য যানবাহন ক্রয় বা বরাদ্দের ক্ষেত্রে নতুন দাম নির্ধারণ করেছে। গতকাল সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বা কোম্পানির কার, জিপ, পিকআপ, মাইক্রোবাস, মোটরসাইকেল, অ্যাম্বুলেন্স, কোস্টার বা মিনিবাস (এসি/নন এসি), বাস (নন এসি) ও ট্রাকের বাজার দর বিবেচনা করে যানবাহনের মূল্য পুনর্নিধারণ করা হলো।

গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য জিপ (অনূর্ধ্ব ২ হাজার ৭০০ সিসি) কেনা যাবে ট্যাক্স ও ভ্যাটসহ ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকায়। গ্রেড-৩ বা তার নিচের কর্মকর্তাদের জন্য জিপের (অনূর্ধ্ব ২ হাজার সিসি) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬৫ লাখ টাকায়।

সর্বশেষ ২০১৯ সালে দাম নির্ধালন করেছিল সরকার। সেবার গ্রেড-১ ও গ্রেড-২ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের জিপের দাম ছিল ৯৪ লাখ টাকা এবং গ্রেড-৩ বা তার নিচের কর্মকর্তাদের  জন্য ছিল ৫৭ লাখ টাকা।

রেজিস্ট্রেশন ও ভ্যাটসহ কারের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা (অনূর্ধ্ব ১ হাজার ৬০০ সিসি)। ২০১৯ সালে যা ছিল ৩৫ লাখ টাকা। অর্থাৎ, এবার মূল্য ১০ লাখ টাকা বাড়ানো হয়েছে।

এছাড়া পিকআপ (সিঙ্গেল কেবিন) ৩৮ লাখ টাকা এবং ডাবল কেবিন পিকআপের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৫ লাখ টাকা। মোটরসাইকেল ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা, মাইক্রোবাস ৫২ লাখ টাকা, অ্যাম্বুলেন্স ৫৪ লাখ টাকা, কোস্টার বা মিনিবাস ৭৫ লাখ টাকা, নন এসি মিনিবা ৩২ লাখ টাকা, বড় ও নন এসি বাস ৪৬ লাখ টাকা, ৫ টন ট্রাকের দাম ৩৯ লাখ এবং ৩ টন ট্রাকের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৩১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা।

Comments

The Daily Star  | English
narcotics cases pending despite deadline

4.8 lakh narcotics cases pending despite deadline

Judge shortage, lack of witnesses, inadequate court infrastructure blamed for delays

7h ago