‘স্পর্শ’ ঢাকার দর্শকদের হৃদয় স্পর্শ করবে

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত তার ক্যারিয়ারে অনেক সুপারহিট সিনেমা উপহার দিয়েছেন। বাংলাদেশেও তার অভিনীত ব্যবসাসফল সিনেমা রয়েছে।

অনন্য মামুন পরিচালিত 'স্পর্শ' সিনেমার শুটিংয়ের জন্য বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছেন ঋতুপর্ণা। সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করছেন নায়ক নিরব। 'স্পর্শ' সিনেমাসহ বিভিন্ন বিষয়ে দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে কথা বলেছেন তিনি।

ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। ছবি: শেখ মেহেদী মোরশেদ/স্টার

শুটিংয়ের ব্যস্ততায় কেমন সময় কাটছে?

বাংলাদেশকে সবসময় আপন মনে হয়। ঢাকায় এলেই ভালো লাগে। দীর্ঘদিন এখানে সিনেমা করছি, অনেক পরিচিত মানুষ আছেন। 'স্পর্শ' সিনেমায় অভিনয় করতে এসেও অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে।

এখানকার সবাই ভীষণ আপন। সবাই অসম্ভব ভালো মানুষ। এখানকার শিল্পীরাও আমাকে খুব আপন করে নিয়েছেন। এ দেশের মানুষ অতিথিকে সম্মান করতে জানেন। এর মধ্যে ফেরদৌসের সঙ্গে দেখা হয়েছে। ফেরদৌস আমার খুব ভালো বন্ধু। তার পরিবারের সবার সঙ্গে আমার গভীর সম্পর্ক। 

'স্পর্শ' সিনেমাটি সম্পর্কে কিছু বলবেন?

'স্পর্শ' নিয়ে এটুকু বলতে পারি, সিনেমাটি ঢাকার দর্শকদের হৃদয় স্পর্শ করবে।

অভিনয়কে কীভাবে দেখেন?

অভিনয় আমার কাছে ভালোবাসা, সাধনা, সবকিছু। অভিনয় করছি বলেই এত মানুষের ভালোবাসা পাচ্ছি, সম্মান পাচ্ছি। অভিনয়টাই মন দিয়ে করি। কারণ, অভিনয়কে ভালোবাসি প্রচণ্ড।

প্রয়াত নায়ক মান্নার সঙ্গে বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন…

মান্না ভাইকে ভীষণ মিস করি। তার কথা খুব মনে পড়ে। তার স্ত্রীর সঙ্গে এখনো আমার ভালো সম্পর্ক। এ দেশের সিনেমায় মান্না ভাইয়ের ভূমিকা অনেক। তিনি ছিলেন শিল্পী বান্ধব শিল্পী। দর্শকরা আজও তাকে ভালোবাসেন।

নন্দিত অভিনেত্রী শাবানার প্রযোজনা হাউজ থেকেও আপনি সিনেমা করেছেন। এ বিষয়ে কিছু বলবেন।

শাবানা ম্যামের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েকটি সিনেমা করেছি। সেগুলো সুপারহিট হয়েছে। এখন তো তিনি দেশে থাকেন না। ঢাকায় এলে তার কথা মনে পড়ে।

আরও অনেককেই মিস করি যারা বেঁচে নেই। ফরীদি ভাইকেও মিস করি। আসলে শিল্পীরা তো একটি পরিবার।

ভারতে আপনি অনেক ব্যস্ত। ঢাকার সিনেমায় নিয়মিত অভিনয় করতে চান?

আমি অভিনেত্রী, অভিনয় ভালোবাসি। ভালো গল্প ও চরিত্রের প্রতিই আমার প্রধান মনোযোগ। ভালো কাজের জন্য ডাকলে অবশ্যই অভিনয় করব।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh-Myanmar border landmine explosion

Bangladesh-Myanmar border: Landmine-related injuries on the rise

Having lost her right leg in a landmine explosion, Nur Kaida, a 23-year-old Rohingya woman, now feels helpless at a refugee camp in Teknaf.

12h ago