প্রশান্ত মহাসাগরে চীন-রাশিয়া যৌথ নৌ মহড়া

সাম্প্রতিক সময়ে মস্কো ও বেইজিং এর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে, বিশেষত, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর পশ্চিমা সরকারগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতির পর।
ক্রেমলিনে শি জিন পিং ও ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি: রয়টার্স
ক্রেমলিনে শি জিন পিং ও ভ্লাদিমির পুতিন। ফাইল ছবি: রয়টার্স

রাশিয়া ও চীনের যুদ্ধজাহাজ প্রশান্ত মহাসাগরে যৌথ সামরিক মহড়ায় অংশ নিছে। মস্কোর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এই মহড়ায় উদ্ধার কার্যক্রম ও উড়োজাহাজ হামলা প্রতিহত করার মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে

আজ শুক্রবার বার্তা সংস্থা এএফপি এ তথ্য জানিয়েছে।

রুশ রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ মাধ্যম তাসের ভিডিওতে দেখা গেছে, ডায়মন্ড ফর্মেশনে ৯টি বড় জাহাজ পানির ওপর দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। জাহাজের ডেকে সতর্ক অবস্থায় ক্রু সদস্যদের দেখা গেছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, এই মহড়ায় 'জাহাজের ফুরিয়ে যাওয়া জ্বালানি পরিপূরণ ও তাৎক্ষণিক-ভাবে মালামাল স্থানান্তরের' মতো বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২ দেশের জাহাজগুলো মহড়ার অংশ হিসেবে ৬ হাজার ৪০০ নটিকাল মাইল দূরত্ব অতিক্রম করেছে বলেও জানা গেছে।

'মহড়ায় রাশিয়া ও চীনের নাবিকরা ডুবোজাহাজ ও উড়োজাহাজ ধ্বংস করা, সমুদ্রে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা ও রণতরীর ডেক থেকে হেলিকপ্টার উড্ডয়ন ও অবতরণের মতো বিষয়গুলোতে প্রশিক্ষণ পেয়েছে', যোগ করে রুশ মন্ত্রণালয়।

সাম্প্রতিক সময়ে মস্কো ও বেইজিং এর সম্পর্ক আরও দৃঢ় হয়েছে, বিশেষত, ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনের পর পশ্চিমা সরকারগুলোর সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্কের অবনতির পর।

চীন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র সোমবার প্রশান্ত মহাসাগরের পশ্চিম ও উত্তর অংশে ২ দেশের এই যৌথ মহড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মুখপাত্র বলেন, 'এসব কার্যক্রম কোনো তৃতীয় পক্ষের দিকে লক্ষ্য রেখে করা হচ্ছে না এবং এর সঙ্গে চলমান আঞ্চলিক বা আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির কোন যোগসূত্র নেই।'

চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লি শ্যাংফু এ সপ্তাহে আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বিষয়ক একাদশ মস্কো সম্মেলনে যোগ দিতে রাশিয়া গেছেন। সেখানে তিনি ২ দেশের মধ্যে আরও নিবিড় সামরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

গত কয়েক মাসে মস্কো ও বেইজিং প্রতিরক্ষা নিয়ে দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতার বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। দেশগুলো জাপান সমুদ্র ও পূর্ব চীন সমুদ্রে জুলাই মাসে যৌথ আকাশ মহড়ায় অংশ নেয়।

এই সামরিক পেশিশক্তির প্রদর্শনী আঞ্চলিক অস্থিরতার জন্ম দিয়েছে। জুলাইর উড়োজাহাজ মহড়ার সময় সতর্কতা হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া যুদ্ধবিমান মোতায়েন করে।

Comments