হবিগঞ্জে আ. লীগ-বিএনপি সংঘর্ষে পুলিশের রাবার বুলেট-টিয়ারশেল, আহত শতাধিক

হবিগঞ্জের শায়েস্তানগর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় উভয় দলের নেতাকর্মী ও পুলিশসহ শতাধিক আহত হয়েছেন।

আজ রোববার বিকেল ৫টায় থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত জেলা শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

প্রায় ৩ ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষে উভয়পক্ষের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায়, বিকেলে বিএনপি-জামায়াতের অগ্নিসন্ত্রাসের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করতে শহরের শায়েস্তানগর পয়েন্টে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন। এ সময় বিএনপি নেতাকর্মীদের টানানো ব্যানার-ফেস্টুন ছিঁড়ে সন্ত্রাসবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

এরপর একপর্যায়ে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।

আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা শহরের প্রধান সড়ক ও বিএনপির নেতাকর্মীরা ভেতরের সড়কে অবস্থান নিয়ে ইট-পাটকেল ছুড়তে থাকেন।

পুলিশ উভয়পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে সন্ধ্যায় সাঁজোয়া যানসহ পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

সংঘর্ষে আহত উভয়দলের নেতাকর্মী ও বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে নিতে দেখা গেছে। কাঁদানে গ্যাসে আখলাছ আহমেদ প্রিয় নামে এক সংবাদকর্মী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সমবায়বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক জিকে গউছ দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, তাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মো. আলমগীর চৌধুরী বলেন, 'আমরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সমাবেশ করেছি। সমাবেশ শেষে শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করি। তখন হঠাৎ বিএনপি নেতাকর্মীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকলে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে আমাদের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। তবে হতাহতের সংখ্যা এখনই বলা সম্ভব নয়।'

তবে, জিকে গউছের দাবি, 'আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে লাঠিসোটা সহকারে হঠাৎ আমাদের দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে। অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর করেছে। আমার বাসায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। পুলিশও তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে যোগ দিয়েছে। হামলায় পৌর কাউন্সিলর শফিকুর রহমান সিতুসহ শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।'

হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. বদিউজ্জামান জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English
government decision to abolish DSA

A law that gagged

Some made a differing comment, some drew a political cartoon and some made a joke online – and they all ended up in jail, in some cases for months. This is how the Digital Security Act (DSA) and later the Cyber Security Act (CSA) were used to gag freedom of expression and freedom of the press.

11h ago