রাজনীতি
নাটোর

এমপি শিমুলের অনুসারীর হামলায় উপজেলা চেয়ারম্যান আহতের অভিযোগ

এমপি শিমুলের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা রাশিদুল ইসলাম কোয়েল ও তার ভাই এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোর শহরের পচুর হোটেলে নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদ ও জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিনের ওপর হামলা হয়। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

নাটেরে সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম শিমুলের অনুসারীদের বিরুদ্ধে নলডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিনকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে নাটোর শহরের পচুর হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। আহত চেয়ারম্যান আসাদ বর্তমানে নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান জানান, এমপি শিমুলের ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত যুবলীগ নেতা রাশিদুল ইসলাম কোয়েল, তার ভাই কানন ও আরো কয়েকজন এ হামলা চালায়।

এ সময় ওই হোটেলে ভাঙচুর করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছে।

চিকিৎসাধীন চেয়ারম্যান আসাদ রাতে দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'ছাত্রলীগ সেক্রেটারি শাহিনসহ আরো নেতাকর্মীদের নিয়ে খেতে বসেছিলাম পচুর হোটেলে। এমপি শিমুলের অনুসারী কোয়েলের ছোটভাই কানন খাওয়া শেষে পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় প্রথমে শাহিনকে চড়-থাপ্পড় মারে। পরে তারা দলবল নিয়ে এসে আমাকে কাঁচের গ্লাস এবং প্লেট দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করে।'

পরে অন্যান্য নেতাকর্মী ও পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায় বলে জানান তিনি।

মারধরের শিকার জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শাহিন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'প্রথমে কোয়েলের ছোটভাই বিনা উস্কানিতে আমাকে থাপ্পড় মারে। পরে কোয়েলসহ আরও কয়েকজন এসে চেয়ারম্যানের ওপর হামলা করে। খাবার টেবিলে এমন হামলা হবে এটা আমাদের কল্পনাতেও ছিলনা।'

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম রমজান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বিনা উস্কানিতে দুজনের ওপর হামলা চালানো হয়। বিএনপি থেকে দলে ঢোকা সন্ত্রাসীরা এমপি শিমুলের ছত্রছায়ায় একের পর এক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করছে। পুলিশও তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না।'

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে নাটোর-২ আসনের সংসদ সদস্য শিমুল ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমি বিষয়টি জানতাম না, এখনই শুনলাম। আসাদ ক্রিটিসাইজমূলক কথা বলেছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মারা গেছেন, এমন সময় ক্রিটিসাইজ করে কথা বলার কী দরকার?'

'আসাদ হাইকোর্ট থেকে উপজেলা চেয়ারম্যান পদ ফিরে পেয়েছে। তিনি ছাত্রলীগ নেতা জীবন হত্যা মামলার আসামি। হোটেলে খেতে গিয়ে নেতাকর্মীদের তিরস্কার করে কথা বলেছে, এটা তো ঠিক না। আমি পুলিশকে বলেছি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে,' যোগ করেন তিনি।

জানতে চাইলে নাটোরের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেছে। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। হামলাকারীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।'

 

Comments