সুপারিশ করলে স্বাগত জানাব, তবে কোনো চাপ মেনে নেব না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। স্টার ফাইল ফটো

জি টোয়েন্টি সম্মেলনে জলবায়ু পরিবর্তন, রোহিঙ্গা সংকট, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থেকে উদ্ভূত খাদ্য ও জ্বালানি চ্যালেঞ্জের বিষয়গুলো তুলে ধরে বাংলাদেশ গ্লোবাল সাউথের কণ্ঠস্বর হতে চায়।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ৮-১০ সেপ্টেম্বর ভারত সফর করবেন, যেখানে বিশ্ব নেতারাও যোগ দেবেন।

সাইডলাইনে শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট, আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট ও দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন আজ ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমরা আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অর্জন করেছি। আমরা জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ ফোরামে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমরা এই অর্জনগুলো তুলে ধরতে চাই।'

শেখ হাসিনা ও মোদির বৈঠকে নির্বাচনী ইস্যু বাংলাদেশ উত্থাপন করবে কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আমি জানি না'।

এরপর তিনি বলেন, বাংলাদেশ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

মোমেন বলেন, 'যদি কেউ কোনো সমর্থন বা সুপারিশ করতে চায় তবে আমরা তাকে স্বাগত জানাব, তবে আমরা কোনো চাপ মেনে নেব না।'

তিনি বলেন, 'আমরা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও শান্তি চাই। আমরা এই অঞ্চলে কোনো প্রক্সি যুদ্ধ চাই না।'

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতার কারণে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সত্ত্বেও ২০১১ সাল থেকে অমীমাংসিত তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির বিষয়টি বাংলাদেশ উত্থাপন করবে কিনা সে বিষয়ে মোমেন কোনো প্রতিক্রিয়া জানাননি।

মোমেন বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কৃষি গবেষণা, সংস্কৃতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংক ও ভারতের এনপিসিআই ব্যাংকের মধ্যে টাকা ও রুপি লেনদেনের জন্য সহযোগিতাসহ বেশ কয়েকটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Yunus joins stakeholders’ dialogue on Rohingya crisis in Cox’s Bazar

The three-day conference began with the aim of engaging global stakeholders to find solutions to the prolonged Rohingya crisis

45m ago