সাভারে ১৪৮ শ্রমিকের বিরুদ্ধে ভাঙচুর ও সাড়ে ৬ কোটি টাকা ক্ষতির অভিযোগে মামলা

Savar_DS_Map.jpg
স্টার অনলাইন গ্রাফিক্স

ঢাকার সাভারে একটি পোশাক কারখানায় বকেয়া বেতনকে কেন্দ্র করে শ্রমিক অসন্তোষের ঘটনায় ২৮ জন শ্রমিক ও অজ্ঞাতনামা ১২০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ।

আজ শনিবার সন্ধ্যায় সাভার মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, গতকাল মামলাটি দায়ের করেন দীপ্তা অ্যাপারেলস লিমিটেডের সহকারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. মোস্তফা কামাল।

গত বৃহস্পতিবার সকালে কারখানাটির শ্রমিকরা ১০ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধের দাবিতে কর্মবিরতি দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। এ ঘটনায় দায়েল করা মামলায় জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মো. কবির হোসেনকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।

ওসি বলেন, 'মামলার অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।'

ডার্ড গ্রুপের তৈরি পোশাক কারখানা দীপ্তা অ্যাপারেলস লিমিটেডের পক্ষ থেকে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, অভিযুক্ত শ্রমিকরা কারখানায় ভাঙচুর চালিয়েছে, তৈরি পোশাক নষ্ট করার মাধ্যমে ২ কোটি ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষতিসাধন করেছে, ১ কোটি ৩২ লাখ ৩০ হাজার টাকা মূল্যমানের ১৮ হাজার পিস শার্ট লুট করেছে।

এ ছাড়া, হামলার কারণে বায়ারদের নির্ধারণ সময়ে অর্ডার সরবরাহ করতে না পারায় কারখানাটির আরও ৩ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলেও মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

অভিযোগ করা হয়েছে, ঘটনার দিন কবির হোসেনের নির্দেশে অভিযুক্ত শ্রমিকরা বেতন-ভাতা দেওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগেই এটিকে ইস্যু করে কারখানা তালাবদ্ধ করে ডিজিএম (মার্কেটিং) মো. নাসির উদ্দিনের কক্ষে প্রবেশ করে তার ওপর হামলা করে। শ্রমিকদের হামলায় নাসির উদ্দিনসহ কোয়ালিটি ম্যানেজার শ্রী প্রদীপ, কমপ্লায়েন্স সহকারী ম্যানেজার মারুফ হোসেন, সিকিউরিটি গার্ড সম্রাটসহ অন্তত ৯-১০ জন কর্মী মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন।

এ বিষয়ে মামলার প্রধান আসামি ও শ্রমিক নেতা কবির দ্য ডেইলি স্টারের কাছে দাবি করেন, 'মামলাটি হয়রানিমূলক।'

তিনি বলেন, 'শ্রমিকদের হয়রানি করতে এবং মজুরি বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে আমাদের চলমান আন্দোলনকে স্থবির করতেই এই মামলা।'

ঘটনার সময় অন্য একটি কারখানায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে ছিলেন দাবি করে তিনি বলেন, 'শুধুমাত্র হরয়ানি করতেই আমাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে।'

এ বিষয়ে জানতে মামলার বাদী মোস্তফা কামালের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল নম্বরে একাধিক বার কল করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

Students, teachers declare 'shutdown' at JnU

JnU students have continued their blockade at the capital's Kakrail intersection for the second consecutive day

1h ago