বাংলাদেশ

চাঁদা দাবির অভিযোগে প্রত্যাহারকৃত ওসি মাহবুবুল যা বললেন

পুলিশ ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল আলম।
মাহবুবুল আলম
মাহবুবুল আলম। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুবুল আলমকে সাত লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে অভিযোগ নিয়ে তিনি দাবি করেছেন, তিনি কোনো চাঁদা দাবি করেননি, তার কণ্ঠ এডিট করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে মাহবুবুল আলমের বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি নিয়ে এক নারীর লিখিত অভিযোগ করার পর তাকে প্রত্যাহার করা হয়।

এ ঘটনায় আজ রোববার মাহবুবুলের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ সত্য নয়। তিনি কোনো টাকা দাবি করেননি।

'অডিওতে আমার কণ্ঠ থাকলেও পুরোটা আমার নয়, এডিট করা হয়েছে,' বলে দাবি করেন তিনি।

মাদকের ব্যবসায় তিনি প্রশ্রয় দেন বলে অভিযোগ আছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'আমি কাউকে চিনি না। সেদিন যারা কথা বলতে এসেছিল তারা যে তিন জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তারা উভয় পক্ষই মাদকের সঙ্গে জড়িত। ওই নারীর নামে ৬টা মামলা আছে এবং তার স্বামীর নামেও ১২টি মামলা আছে।'

এর আগে সকালে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল আলম গণমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন, 'আমরা প্রাথমিক তদন্তে অভিযোগগুলো সত্য এবং অডিও ক্লিপে ওসির কণ্ঠস্বর সত্য বলে প্রমাণিত হয়েছে।'

তিনি এসময় জানান, জেলা পুলিশ সুপার মো সাইফুর রহমানের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর গত রাত পৌনে ১২টায় ওসির প্রত্যাহার আদেশ জারি করা হয়।

পুলিশ ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে এবং দোষী প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

ওসির চাঁদা দাবির অডিও ক্লিপ গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়।

 

Comments