আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

এঙ্গেলব্রেখট-ফন বিকের রেকর্ড জুটিতে ডাচদের লড়াইয়ের পুঁজি

বিশ্বকাপের মঞ্চে তো বটেই, ওয়ানডে ক্যারিয়ারেই এঙ্গেলব্রেখট ও ফন বিক পান নিজেদের প্রথম ফিফটির অমৃত স্বাদ।

এঙ্গেলব্রেখট-ফন বিকের রেকর্ড জুটিতে ডাচদের লড়াইয়ের পুঁজি

ছবি: এএফপি

দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে অঘটনের জন্ম দেওয়া নেদারল্যান্ডস এবার ব্যাটিংয়ে দেখাল চমক। ৯১ রানে ৬ উইকেট তুলে তাদেরকে খাদের কিনারায় ঠেলে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। সেই মহাবিপর্যয় সামলে সপ্তম উইকেটে রেকর্ড জুটি গড়লেন সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট ও লোগান ফন বিক। তাদের পাল্টা আক্রমণাত্মক ব্যাটে চড়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেল ডাচরা।

শনিবার লখনউতে বিশ্বকাপের ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করেছে নেদারল্যান্ডস। লঙ্কানদের বিপক্ষে ৪৯.৪ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৬২ রান জমা করেছে তারা।

২২তম ওভারে ৯১ রানে নেই ৬ উইকেট— এমন পরিস্থিতিতে বোলিংয়ে থাকা দলের লক্ষ্য থাকে যত দ্রুত সম্ভব বাকি উইকেটগুলো শিকার করে প্রতিপক্ষকে গুঁড়িয়ে দেওয়ার। আর ব্যাটিংয়ে থাকা দলের চাওয়া থাকে অসাধারণ কোনো ইনিংস বা জুটির, যাতে ভালো একটি স্কোর গড়ার মাধ্যমে পরবর্তীতে বোলিংয়ের সময় প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য রসদ মেলে। শ্রীলঙ্কার প্রত্যাশা পূরণ না হলেও নেদারল্যান্ডসের হয়েছে।

সপ্তম উইকেটে ১৪৩ বলে ১৩০ রান যোগ করেন এঙ্গেলব্রেখট ও ফন বিক। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এই উইকেটে তাদের জুটির রানই এখন সর্বোচ্চ। তারা টপকে গেছেন গত বিশ্বকাপে মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রবীন্দ্র জাদেজার গড়া রেকর্ডকে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওই ম্যাচে ভারত ৬ উইকেট হারিয়েছিল ৯২ রানে। এরপর ধোনি ও জাদেজা মিলে যোগ করেছিলেন ১১৬ রান।

সাতে নেমে এঙ্গেলব্রেখট ৮২ বলে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন। তিনি মারেন চারটি চার ও একটি ছক্কা। আটে নেমে ফন বিক একটি করে চার ও ছয়ের সাহায্যে ৭৫ বলে করেন ৫৯ রান। বিশ্বকাপের মঞ্চে তো বটেই, ওয়ানডে ক্যারিয়ারেই এঙ্গেলব্রেখট ও ফন বিক পান নিজেদের প্রথম ফিফটির অমৃত স্বাদ।

ইনিংসের শেষ ১০ ওভারের মধ্যে বাকি ৪ উইকেট খোয়ালেও দ্রুত রান তোলার তাড়না দেখায় ডাচরা। বলাই বাহুল্য, এঙ্গেলব্রেখট আর ফন বিকের ব্যাট থেকেই সমস্ত আগ্রাসী শট। এই সময়ে ডাচরা স্কোরবোর্ডে যোগ করে ৮৭ রান। ফলে তাদের সংগ্রহ আড়াইশ পেরিয়ে যায়।

অথচ ইনিংসের মাঝপথে শ্রীলঙ্কা দেখছিল সহজ রান তাড়ার পথ। চতুর্থ ওভারে বিক্রমজিত সিং এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে পড়ার পর পাওয়ার প্লের শেষ বলে বিদায় নেন ধুঁকতে থাকা আরেক ওপেনার ম্যাক্স ও'ডাউড। কলিন অ্যাকারম্যানের সম্ভাবনাময় ইনিংসের ইতি ঘটে ৩১ বলে ২৯ রানে। কাসুন রাজিথা এই তিনজনকে আউট করার পর দিলশান মাদুশাঙ্কা টিকতে দেননি বাস ডি লিডি ও তেজা নিদামানুরুকে।

দুই পেসারের পর উইকেট উৎসবে যোগ দেন মাহিশ থিকশানা। তিনি অধিনায়ক স্কট এডওয়ার্ডসকে বোল্ড করলে ডাচদের ব্যাটিংয়ের শেষ দেখে ফেলেছিলেন অনেকে। তবে ঘুরে দাঁড়িয়ে সেখান থেকেই নতুন করে শুরু করেন ব্যাটিং অলরাউন্ডার এঙ্গেলব্রেখট ও বোলিং অলরাউন্ডার ফন বিক। তাদের জুটি টেকে ৪৬তম ওভার পর্যন্ত। তখন এঙ্গেলব্রেখট আউট হওয়ার পর ফন বিক আরও কিছুদূর টেনে নেন দলকে।

শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪টি করে উইকেট নেন বাঁহাতি পেসার মাদুশাঙ্কা ও ডানহাতি পেসার রাজিথা। মাদুশাঙ্কা ৪৯ ও রাজিথা ৫০ রান খরচ করেন। নেদারল্যান্ডসের ইনিংসের শেষ বলটি নো হলেও ফ্রি হিটের সুবিধা নিতে পারেনি তারা। কারণ রানআউট হয়ে যান পল ফন মিকেরেন।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

40m ago