রূপগঞ্জে বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে আ. লীগের হামলার অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার চনপাড়া এলাকায় বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে।
ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে কায়েতপাড়া ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের চনপাড়া শাখার ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সমসের আলী ও তার সহযোগী পুলিশের তালিকাভুক্ত মাদক চোরাকারবারি মো. শাওন হামলায় নেতৃত্ব দেন।
বাড়িঘর ভাঙচুরের পর হামলাকারীরা বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ৪ জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বলেও জানা গেছে।
যোগাযোগ করা হলে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম সাঈদ আজ শুক্রবার দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা চনপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে আটক করেছি।'
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক খোকন ডেইলি স্টারকে বলেন, 'বাড়িঘরে হামলা চালিয়ে চনপাড়া ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহিনের বাবা আলী আকবর, সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক মো. নুরুল হক, ৮ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী মো. জুলহাস ও ১ নম্বর ওয়ার্ডের বিএনপি কর্মী মো. হানিফকে আওয়ামী লীগের লোকজন চনপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যদের হাতে তুলে দিয়েছে।'
তিনি আরও জানান, তারা সবাই রূপগঞ্জের বাসিন্দা ও বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত।
ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় লোকজন জানায়, গতকাল রাত ৯টার দিকে সমসের আলী ও শাওনের নেতৃত্বে ৩৫-৪০ জন ধারালো অস্ত্র ও লাঠি নিয়ে ছাত্রদলের জেলা শাখার যুগ্ম-সম্পাদক মো. শাহজাহানের বাড়িতে হামলা চালায়। তাকে বাড়িতে না পেয়ে হামলাকারীরা ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। রাতে তার বাবা-মা এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেন৷
এ সময় ওই এলাকায় পুলিশ উপস্থিত ছিল বলে অভিযোগ করেন শাহজাহান।
তিনি বলেন, 'গ্রেপ্তার এড়াতে আমি ৫ দিন ধরে এলাকার বাইরে অবস্থান করছি।'
এদিকে একই রাতে বিএনপি নেতা মো. লিটন, আলী আকবর ও যুবদল নেতা আল-আমিনের বাড়িতেও ভাঙচুর করা হয়।
আলী আকবরের স্ত্রী মুক্তা বেগম ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হামলাকারীরা ঘরের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে আমার স্বামীকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা বাধা দিতে গেলে হামলাকারীরা আমাদের ওপর চড়াও হয়।'
'আমার স্বামীকে তুলে নেওয়ার পর আমরা তাদের পিছু নিয়ে দেখি একটি পুলিশের গাড়ি রাস্তায় এবং আমার স্বামী ওই গাড়িতে,' যোগ করেন তিনি,
অভিযোগের বিষয়ে জানতে সমসের আলীকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি। মোবাইল ফোনে মেসেজ দেওয়া হলেও উত্তর দেননি।
জানতে চাইলে রূপগঞ্জ থানার ওসি এ এফ এম সাঈদ ডেইলি স্টারকে বলেন, 'হামলার কোনো তথ্য আমাদের কাছে আসেনি। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখব।'
Comments