আজ নয়াপল্টনে বিএনপি, বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে আ. লীগের সমাবেশ

আজ সকাল থেকে তল্লাশি আরও জোরদার করা হয়েছে।

রাজধানীর নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আজ শনিবার সমাবেশ করবে বিএনপি। একইদিন দুই কিলোমিটার দূরত্বের মধ্যে অবস্থিত বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটে সমাবেশ করবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ।

গতকাল রাতে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) দুই দলকে তাদের প্রস্তাবিত দুই জায়গায় সমাবেশের এই অনুমতি দেয়।

ডিএমপি জানিয়েছে, ২০ শর্তে শনিবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিএনপিকে নয়াপল্টনে ও আওয়ামী লীগকে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইটে সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হলো।

বিএনপি সমাবেশ করবে নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে। আর এর পরিপ্রেক্ষিতেই পাল্টা সমাবেশ করছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, যার নাম তারা দিয়েছে 'শান্তি ও উন্নয়ন সমাবেশ'।

বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, দলটির অধিকাংশ নেতাকর্মী এই সমাবেশে যোগ দিতে রাজধানীতে এসেছেন। তারা নিজেদের ব্যাপক জনপ্রিয়তা প্রদর্শন করে ক্ষমতাসীন দলকে বার্তা দিতে চান।

দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, নির্দলীয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারকে বাধ্য করাই আমাদের শান্তিপূর্ণ মহাসমাবেশের মূল লক্ষ্য।

আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ সূত্র বলছে, তারা বিএনপির চেয়ে বড় সমাবেশ করে দেশ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে তাদের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে বার্তা দিতে চায়।

আগামী নির্বাচনকে দেশের 'আরেক মুক্তিযুদ্ধ' উল্লেখ করে গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, 'অনির্বাচিতদের হাতে ক্ষমতা তুলে দেওয়ার আর কোনো ষড়যন্ত্র হতে দেওয়া হবে না। আদর্শ প্রতিষ্ঠার জন্য মরতে হয় মরব, কিন্তু পথ ছাড়ব না।'

আজ মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সমাবেশের অনুমতি চাইলে তা পায়নি জামায়াতে ইসলামী। অনুমতি না পেলেও এক বিবৃতি তারা জানিয়েছে, যেভাবেই হোক তারা সমাবেশ করবে। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল নয়।

সমাবেশ ঘিরে রাজধানীর মানুষের ভেতর আতঙ্ক বিরাজ করছে। গতকাল থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন প্রবেশপথে নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে তল্লাশি চালাচ্ছে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। আজ সকাল থেকে তল্লাশি আরও জোরদার করা হয়েছে।

পুলিশের পাশাপাশি মোতায়েন করা হয়েছে দেড় হাজার র‌্যাব সদস্যকে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে আর্মড ব্যাটালিয়ন পুলিশকেও (এপিবিএন)।

গতকাল নয়াপল্টন এলাকায় ৬০টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছে ডিএমপি।

সমাবেশকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে আজ রাজধানীতে বাস চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে গতকাল জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি জানিয়েছে।

সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ গতকাল দ্য ডেইলি স্টারকে বলেছেন, 'শনিবার আমরা রাজধানীতে বাস চলাচল বন্ধের কোনো নির্দেশনা দেইনি।'

Comments

The Daily Star  | English

Fixed expenses to eat up 40pc of next budget

The government has to spend about 40 percent of the next budget on subsidies, interest payments, and salaries and allowances of government employees, which will limit its ability to spend on social safety net, health and education.

36m ago