বাসের আগুনে নাইমের মৃত্যু, পরিবার চলবে কেমন করে

অছিম পরিবহনের বাসের আগুনে প্রাণ হারান নাঈম। ছবি: সংগৃহীত

চার ভাইবোনের মধ্যে সবার বড় নাঈম। ১৬ বছর বয়স থেকে বাসের হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করেন। বাসের দরজায় ঝুলে খাবার জোগাচ্ছিলেন পরিবারের মুখে, বাঁচিয়ে রেখেছিলেন পরিবারের স্বপ্নগুলো। দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে পুড়ে শেষ হয়ে গেল নাঈমের পরিবারের স্বপ্ন।

আজ রোববার সকাল থেকে শুরু হয় বিএনপি-জামায়াতের ডাকা হরতাল। তার কয়েক ঘণ্টা আগে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ডেমরা পশ্চিম দেল্লা এলাকায় রাখা অছিম পরিবহনের একটি বাসে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা, এতে প্রাণ হারান নাঈম, আহত হন রবিউল নামে আরেক হেলপার।

নাঈমের চাচা আল-আমিন খলিফা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'নাঈমের বয়স ২০ বছর। পরিবারের বড় ছেলে হওয়ায় ১৬ বছর বয়সে সে বাসের হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করে। বাসের আগুনে পুড়ে সে মারা গেছে। আমি জানি না, তার পরিবার কীভাবে এই শোক সামলাবে।'

নাঈমের বাড়ি বরিশালের চরমোনাই ইউনিয়নে। তার বাবার নাম আলম চৌকিদার ও মায়ের নাম পারভিন বেগম।

আল-আমিন খলিফা দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'আমরা সাধারণ মানুষ, খাওয়ার জন্য কাজ করি। আওয়ামী লীগ, বিএনপি সবাই আমাদের কাছে সমান। আমরা রাজনীতি করি না। আমাদের কেন মরতে হবে? আজ নাঈম মারা গেছে, এখন তার পরিবারের কী হবে?'

তিনি জানান, পুলিশি প্রক্রিয়া শেষ হলে আজ নাঈমের মরদেহ নিজ বাড়িতে নিয়ে দাফন করা হবে।

আল-আমিন খলিফা আরও বলেন, 'আমি এই ঘটনার বিচার চাই। ক্ষতিপূরণও দাবি করছি।'

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

14h ago