আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

লখনউয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ইংল্যান্ড?

বিশ্বকাপে টানা পাঁচ ওয়ানডের পাঁচটিতে জয় পাওয়া ভারত এই মাঠে কখনো জিতেনি

লখনউয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে ইংল্যান্ড?

ভারত বনাম ইংল্যান্ড

এবারের বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি আলোচনা ছিল ইংল্যান্ড দল নিয়ে। তাদের খেলার ধরণের কারণে। দলের পরিস্থিতি যেমনই থাকুক আগ্রাসী মেজাজে কখনোই কমতি থাকে না তাদের। বিশ্বকাপের আগ পর্যন্ত এ সব ঠিকঠাকও চলছিল। কিন্তু বিশ্ব মঞ্চে এসে সব কিছুতেই যেন তালগোল পাকিয়ে গিয়েছে দলটির। রীতিমতো কোণঠাসা। প্রশ্ন হচ্ছে দেওয়ালে পিঠ থেকে যাওয়া দলটি কি ঘুরে দাঁড়াতে পারবে?

পাঁচ ম্যাচের চারটি হেরে পয়েন্ট তালিকার তলানিতে রয়েছে ইংল্যান্ড। সেমি-ফাইনালে উঠতে হলে নিজেদের শেষ চার ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি মিলতে হবে আরও অনেক সমীকরণ। অন্য দলগুলো বিশেষকরে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার হার প্রত্যাশাও করতে হবে। যা কার্যত অনেক কঠিন। কিন্তু দলটা যখন ইংল্যান্ড, তখন ভালো কিছু প্রত্যাশা করতেই পারে সমর্থকরা।

আজ রোববার লখনউর ভারত রতন শ্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী একানা স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে মাঠে নামবে ইংল্যান্ড। এই স্টেডিয়ামটি প্রায় নতুন। ২০১৭ সালে উদ্বোধনের পর মোট ১২টি ওয়ানডে ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এই মাঠে। যেখানে মাত্র ১টি ম্যাচ খেলেছে ভারত। আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে খেলা সেই একটি ম্যাচে হেরেছে তারা।

তাই ঘরের মাঠের সুখস্মৃতি থাকছে না ভারতের সঙ্গে। আর একানা মাঠের গড় রানও আশা দেখাতে পারে ইংলিশদের। স্বাভাবিকের চেয়ে অনেকটাই কম। প্রথমে ব্যাট করে ২২৬, আর পরে ব্যাট করে ২২৯ রান। বোলিং ভালো হলেও বিশ্বকাপে ব্যাটিংই বড় মাথাব্যথার কারণ ইংল্যান্ডের। তবে এই মাঠে বড় রানও হয়েছে। অজিদের বিপক্ষে এই মাঠে প্রোটিয়ারা করেছিল ৩১১ রান। অপর দুই ম্যাচে অবশ্য গড় রানের আশেপাশেই ছিল স্কোর।

তবে ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের মতে, একানা স্টেডিয়ামের পিচে সুবিধা পাবেন ব্যাটাররাই। তবে স্পিনাররাও এখানে বেশ সাহায্য পাবেন। অর্থাৎ ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন কুলদীপ যাদব। আর ৫০ হাজার ধারণ ক্ষমতার এই স্টেডিয়ামে সমর্থকদের গর্জন থাকবে স্বাগতিকদের পক্ষেই। এ সব কিছুর মোকাবেলাও করতে হবে ইংলিশদের।

যদি কিন্তুর অনেক সমীকরণে আশা টিকে থাকলেও নিজেদের বিশ্বকাপ শেষ বলেই মনে করছেন ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ম্যাথু মট। একই সুরে কথা বলেছেন সহকারী কোচ মার্কাস ট্রেসকোথিকও, 'ভারতের মাটিতে ওদের বিপক্ষে বিশ্বকাপে খেলা বিশেষ ব্যাপার। আমরা ম্যাচটার অপেক্ষায় আছি। এ ম্যাচে ভালো পারফরম্যান্স ছাড়া আমাদের আর কিছু দেওয়ার নেই। আশা করি, শেষ পর্যন্ত আমরা জয় নিয়ে ফিরতে পারব।'

Comments

The Daily Star  | English

The consensus to keep women out

The project of egalitarianism cannot be subcontracted to the very custodians of inequality.

8h ago