আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩

‘জানি না তারা তাদের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে ফেলছে কিনা’

২০০৭ সালে একসঙ্গে বিশ্বকাপে অভিষেক মুশফিক ও সাকিবের। মাহমুদউল্লাহর প্রথম বিশ্বকাপ ২০১১ সালে। এবার বিশ্বকাপে সব দল মিলিয়ে তাই সবচেয়ে অভিজ্ঞ সাকিব ও মুশফিক, তারা খেলছেন পঞ্চম বিশ্বকাপ, মাহমুদউল্লাহর চতুর্থ।  এবার না থাকলেও বাংলাদেশের হয়ে চার বিশ্বকাপ খেলেছেন তামিম ইকবালও।

পুনে থেকে

‘জানি না তারা তাদের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে ফেলছে কিনা’

২০০৭ সালে একসঙ্গে বিশ্বকাপে অভিষেক মুশফিক ও সাকিবের। মাহমুদউল্লাহর প্রথম বিশ্বকাপ ২০১১ সালে। এবার বিশ্বকাপে সব দল মিলিয়ে তাই সবচেয়ে অভিজ্ঞ সাকিব ও মুশফিক, তারা খেলছেন পঞ্চম বিশ্বকাপ, মাহমুদউল্লাহর চতুর্থ।  এবার না থাকলেও বাংলাদেশের হয়ে চার বিশ্বকাপ খেলেছেন তামিম ইকবালও।
Mushfiqur Rahim
ছবি: একুশ তাপাদার

৩৬ পেরিয়েছেন সাকিব আল হাসান আর মুশফিকুর রহিম, ৩৭ পার করে ফেলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলার বাস্তবতা তাদের তাই ক্ষীণ। সাকিব তো ২০২৫ সালেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ছাড়ার কথা জানিয়ে রেখেছেন। সেই হিসেবে এই তিন তারকার এটাই শেষ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা। যদিও ফিটনেস ও পারফরম্যান্স ঠিক থাকায় এটাই তাদের শেষ কিনা তা নিশ্চিত হতে পারছেন না চণ্ডিকা হাথুরুসিংহে।

২০০৭ সালে একসঙ্গে বিশ্বকাপে অভিষেক মুশফিক ও সাকিবের। মাহমুদউল্লাহর প্রথম বিশ্বকাপ ২০১১ সালে। এবার বিশ্বকাপে সব দল মিলিয়ে তাই সবচেয়ে অভিজ্ঞ সাকিব ও মুশফিক, তারা খেলছেন পঞ্চম বিশ্বকাপ, মাহমুদউল্লাহর চতুর্থ।  এবার না থাকলেও বাংলাদেশের হয়ে চার বিশ্বকাপ খেলেছেন তামিম ইকবালও।

দিল্লিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচে আঙুলে চোট পাওয়ায় সাকিবের বিশ্বকাপে শেষ হয়ে গেছে আগেই। খুব মিরাকল কিছু না হলে বৈশ্বিক ওয়ানডের শ্রেষ্ঠ আসরে আর তাকে দেখা যাবে না। ৩৬ ম্যাচ খেলে এই আসরের সফলতম অলরাউন্ডার ৪১.৬২ গড়ে ১ হাজার ৩৩২ রান আর ৩৬.০৬ গড়ে নিয়েছেন ৪৩ উইকেট।

গড়ের দিক থেকে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল মাহমুদউল্লাহ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ ম্যাচের আগ পর্যন্ত  ২৪ ম্যাচ খেলে ৫৩.৬৪ গড়ে তিন সেঞ্চুরিতে করেছেন ৯১২ রান।  মুশফিকুর রহিম সবচেয়ে বেশি ৩৭ ম্যাচ খেলে ৩৫.২৬ গড়ে করেন ১ হাজার ৫৮ রান।

অভিজ্ঞতায় ঋদ্ধ এই তিনজনের শেষ কিনা নিশ্চিত না হলেও তাদের অর্জনকে প্রশংসা করেছেন হাথুরুসিংহে, 'তাদের অসাধারণ ভ্রমণ ছিল। ক্রিকেটার হিসেবে চার-পাঁচটা বিশ্বকাপ খেলা অনন্য ব্যাপারে। আমি জানি না তারা তাদের শেষ বিশ্বকাপ ম্যাচ খেলে ফেলছে কিনা। সত্যি কথা বলতে এখনো তাদের বেশ ফিট মনে হচ্ছে, এখনো পারফর্ম করছে। নিজের উপর নির্ভর করবে সিদ্ধান্ত নেওয়া। তারা শেষ খেলে ফেলছে কিনা তা নিয়ে আমি মন্তব্য করতে পারি না। তবে চার-পাঁচটা বিশ্বকাপ খেলছে, মুশফিক ও সাকিব পাঁচটা খেলেছে। কেউ খেলা শুরুর পর যদি স্বপ্ন দেখে চার-পাঁচটা বিশ্বকাপ খেলবে, এটা অসাধারণ।'

'তারা বাংলাদেশ ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত যাত্রায় সেরাটা দিয়েছে। তারা যদি সিদ্ধান্ত নেয় বিদায় নেবে। তাহলে এটা ব্যাটল হাত বদলের মতন হবে বাংলাদেশের ক্রিকেটের জন্য।'

অনেক ম্যাচ, ব্যক্তিগত অনেক পারফরম্যান্স খেললেও অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটারদের হাত ধরে কোন ট্রফি জেতা হয়নি বাংলাদেশের। একাধিকবার এশিয়া কাপের ফাইনালেও উঠেও থাকতে হয়েছে জয় বঞ্চিত। বিশ্বকাপে কখনই সেমিফাইনালে না উঠা বাংলাদেশ কখনই জিততে পারেনি তিনটার বেশি ম্যাচ।

ব্যক্তিগত সাফল্যে উজ্জ্বলতা ছড়ালেও দল হিসেবে বাংলাদেশের প্রাপ্তি তাই শূণ্যের ঘরে। হাথুরুসিংহের অবশ্য এই ব্যাপারে নেই কোন মন্তব্য।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago